মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০১:০৪ অপরাহ্ন
ক্রীড়া ডেস্ক: বিশ্বকাপের সবচেয়ে হাইভোল্টেজ ম্যাচ। মূল পর্ব তথা সুপার টুয়েলভের শুরুতেই বহু আকাংখিত ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বিরাট কোহলির ব্যাটে ভর করে পাকিস্তানকে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫২ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে ভারতীয়রা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের জন্য কোহলি যেন বিরাট এক দুঃখের নাম। এই এক কোহলির কাছেই বারবার হারতে হয় পাকিস্তানকে। এবারও সেই কোহলিই বড় দুঃখ হিসেবে ধরা দিয়েছিল প্রায়ি পাকিস্তানের বোলারদের সামনে।
এর আগে তিনটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বিরাট কোহলিকে আউট করতে পারেননি কোনো পাকিস্তানি বোলার। এবার আউট করতে পারলেও বিরাট কোহলির ব্যাটই কথা বলেছে পাকিস্তানি বোলারদের বিপক্ষে। ৪৯ বলে ৫৭ রান করে আউট হয়েছেন তিনি। ৫টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছক্কা মেরেছেন তিনি ১টি।
শুরুতেই শাহিন শাহ আফ্রিদির দ্রুত দুই উইকেটে তুলে নেয়ার পর যখন পাকিস্তান ম্যাচ ফিরে এসেছিল, ঠিক তখনই ঘুরে দাঁড়ান কোহলি। রিশাভ পান্তকে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়ে ভারতকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করিয়ে দেন তিনি।
৩০ বলে পান্ত ৩৯ রান করে আউট হয়ে গেলেও কোহলি অবিচল থাকেন। ১৯তম ওভারের চতুর্থ বলে আউট হওয়ার আগে তুলে নেন ক্যারিয়ারের ২৯তম হাফ সেঞ্চুরি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই ৫বার মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান। প্রতিবারই জয়ী দলটির নাম ভারত। না ওয়ান, না টি-টোয়েন্টি- কোনো ফরম্যাটেই পাকিস্তান ভারতকে হারাতে পারেনি।
এবার আরও একবার বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে মুখোমুখি চির প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশ। ম্যাচ শুরুর আগে অকেন বাগযুদ্ধ হয়েছে। এবার আসল লড়াই। লড়াইয়ের শুরুতে টস জিতলেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম।
দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ভারতকেই ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান পাকিস্তান অধিনায়ক। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই পেসার শাহনি শাহ আফ্রিদির আগুনে বোলিংয়ের মুখে পড়েন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা।
ইনিংসের প্রথম ওভারেই বিধ্বংসী রোহিত শর্মাকে এলবিডব্লিউ করে সাজঘরের পথ দেখিয়ে দেন শাহিন আফ্রিদি। কোনো রান না করেই ফিরে যান রোহিত।
তৃতীয় ওভারে বল করতে এসে প্রথম বলেই ফিরিয়ে দেন লোকেশ রাহুলকে। আইপিএলে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে বিধ্বংসী সূচনা করে থাকেন রাহুল। কিন্তু এবার তিনি আউট হয়ে গেলেন ৮ বলে মাত্র ৩ রান করে। আফ্রিদির বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান তিনি।
এরপর বিরাট কোহলি এবং সুর্যকুমার যাদব মিলে জুটি গড়েন। তাদের এই জুটি ২৫ রান করার পর ভেঙে যায় পাকিস্তানি উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানের দুর্দান্ত এক ক্যাচের কারণে। বোলার ছিলেন হাসান আলি। তার ডেলিভারিটিও ছিল দেখার মত। ৮ বলে ১১ রান করে ফিরে যান সুর্যকুমার।
এরপরই রিশাভ পান্তকে নিয়ে জুটি গড়েন বিরাট কোহলি। দু’জনের ব্যাট গড়ে ওঠে ৫৩ রানের জুটি। শাদাব খানের হাতে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে পান্ত যখন ফেরেন তখন তার রান ৩০ বলে ৩৯।
এরপর মাঠে নামেন রবিন্দ্র জাদেজা। কোহলির সঙ্গে জুটি গড়ে করেন ৪১ রান। এর মধ্যে জাদেজার অবদান ১৩ বলে ১৩ রান। তিনি আউট হন হাসান আলির বলে মোহাম্মদ নওয়াজের হাতে ক্যাচ দিয়ে।
এরই মধ্যে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করে ফেলেন বিরাট কোহলি। শেষ পর্যন্ত শাহিন শাহ আফ্রিদির স্লোয়ার বাউন্সারেই কুপোকাত হলেন তিনি। ক্যাচ দিলেন উইকেটের পেছনে মোহাম্মদম রিজওয়ানের হাতে। সে সঙ্গে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চতুর্থবার এসে পাকিস্তানের বিপক্ষে আউট হলেন কোহলি।
হার্দিক পান্ডিয়া করেন ৮ বলে ১১ রান। তিনি আউট হন হারিস রউফের বলে বাবর আজমের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ভুবনেশ্বর কুমার থাকেন ৫ রানে অপরাজিত।
শাহিন শাহ আফ্রিদি নেন ৩ উইকেট। হাসান আলি ২টি, ১টি করে উইকেট নেন শাদাব খান এবং হারিস রউফ।