শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ০৬:২৮ পূর্বাহ্ন
নুরুল আমিন শাহজাহান: ২৯ এপ্রিল ২০২৫। গভীর রাত। কাশ্মিরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলাকে কেন্দ্র করে ভারতীয় যুদ্ধ বিমান টহলরত অবস্থায় ৪টি রাফাল সীমান্ত রেখা অতিক্রম করে পাকিস্তানি সীমানায় ঢুকে পড়ে। নিমিশেই টের পেয়ে যায় পাকিস্থান। ইসলামাবাদের রার্ডারে সনাক্ত হয় তাদের উপস্থিতি। তাৎক্ষণিক পাকিস্তানি যুদ্ধ বিমান জিএফ-70 ঈগলের মতো নিঃশব্দে আকাশের বুক ছিড়ে তাড়া করে ভারতীয় রাফালকে। রাফাল, উপায়ান্ত না দেখে রাতারাতি ভারতীয় সীমানায় ঢুকে দীর্ঘ নিঃশ্বাসে নিজেদের আত্ম রক্ষা করে। আকাশের বুকে ধাপিয়ে বেড়ানো রাফালের অহংকার চুর্ণ হয়ে এক নিমিশেই।
শুধু আকাশ পথে নয়, জল ও স্থলপথেও তীর্থের কাকের ন্যায় নজর রাখছে ইসলামাবাদ। শত্রুর মোকাবেলায় ধীরচিত্তে সব প্রস্তুতি নিয়েছে পাকিস্তান। এদিকে দিল্লীও পিছিয়ে নেই। রাফালের মতো আরো ১৬ যুদ্ধ বিমান ক্রয় করেছে ফ্রান্স থেকে। দক্ষিণ এশিয়ার দুই পরাশক্তি মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। যেকোনো সময় বেজে যেতে পারে রায়টের ঢংকা।
যুদ্ধের পরিণতি যাই হোক না কেন, দিনশেষে বড় ক্ষতি ভারতেরই হবে। ইতিহাস বলে- প্রতিটি বড় দেশ যেকোনো যুদ্ধের শেষে নিজেদের অভ্যন্তরিন কুন্দলে বিভক্ত হয়ে পড়ে। ছোট করে বলতে গেলে সোভিয়েত ইউনিয়নের কথাই ধরা যাক। ছোট দেশ আফগানিস্তানের সাথে যুদ্ধের শেষে ১৫টি আলাদা রাষ্ট্রে বিভক্ত হয় সোভিয়েত ইউনিয়ন ।
হয়ত ভারতের কপালেও এর ব্যতিক্রম হবে না। কেননা সিকিম, হায়দারাবাদ ও সেভেন সিস্টারের প্রতিটি রাজ্যই স্বাধীনতাকামী। সুযোগ পেলেই যেকোনো সময় পল্টি মারতে পারে রাজ্যগুলো। ২৮টি প্রদেশে সম্মিলিত দেশটি আলাদা আলাদা ভাষা, ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি ও বৈচিত্র খাদ্যাভ্যাস থাকার পরেও ভারত এক। ভারত এক থাকার মুলমন্ত্র কোনো সংবিধান নয়, মুলমন্ত্র হচ্ছে- “এক ঈশ্বরবাদ”। এ ধারণার কথাটাই বলেছেন- স্বামী স্বরূপনানন্দ আচার্য। কিন্তু তথ্য প্রযুক্তি ও গ্লোবালাইজেশনের যুগে “এক ঈশ্বরবাদ” নামক অদৃশ্য শক্তিটা কতটা কাজে দিবে? ভারত কি পারবে মার্কিনিদের মতো ঝড়-ঝাপটার মাঝে নিজেদের ঐক্যবদ্ধ রাখতে? বিশ্ব রাজনীতির মোকাবেলা, অর্থে সাবলম্বী, বাক-স্বাধীনতা, শিল্প-সংস্কৃতি ও স্বর্ণিভর জাতী গঠনে ব্যর্থ হলে সোভিয়েতের ইউনিয়নের পরিণতি ঘঠতে পারে ভারতের কপালে।
লেখক-
সহঃ শিক্ষক (আইসিটি)
মিরপুর দাখিল মাদ্রাসা, হবিগঞ্জ।