করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

স্পেনকে হারিয়ে ফাইনালে ইতালি

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: বুধবার, ৭ জুলাই, ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক: গ্রুপপর্ব উতরানোই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল স্পেনের। এবারের ইউরোর শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি লুইস এনরিকের দলের।

সেই দলটিই শেষ দুই ম্যাচে করল পাঁচটি করে গোল। এরপর সুইজারল্যান্ডের বাধা পেরিয়ে তারা এখন সেমিফাইনালের মঞ্চে। সেখানে আজ তাদের প্রতিপক্ষ ধারাবাহিকতায় দুর্দান্ত ইতালি।

লন্ডনের ওয়েম্বলিতে ইউরোর প্রথম সেমিফাইনালে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার রাতে মুখোমুখি হয়েছে প্রতাপশালী দুই দল।

আর ১২০ মিনিট লড়াই করেও ম্যাচভাগ্য গড়ায় টাইব্রেকারে। শ্বাসরুদ্ধকর টাইব্রেকারে হাসি ফুটল আজ্জুরিদের।

৪-২ স্কোরলাইনে ইউরো-২০ এর ফাইনালের টিকিট কাটল মানচিনির দল ইতালি।

প্রথমার্ধের ৪৫ মিনিটের দারুণ এক দর্শন উপভোগ করল ফুটবলবিশ্ব। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের খেলা কার না ভালো লাগে! প্রথমার্ধে দুই দলই ৪-৩-৩ আক্রমণাত্মক ফরমেশনে খেলেছে। তবে প্রথমার্ধে পরিকল্পিত ফুটবল উপহার দিয়েছে স্পেন। ইতালির ফরোয়ার্ডরা স্পেনের গোলপোস্টের কাছাকাছি হলেও বারবার খেই হারিয়েছেন। শট নিয়েছেন এদিক-ওদিক।

ম্যাচ শুরুর ৭ মিনিটে স্পেনের ডিফেন্সের কাছে পরাস্ত হন ইমোবেলে। ২৪ মিনিটে ইতালির গোলমুখ বরাবর বুলেট গতির শট নেন স্পেনের ফরোয়ার্ড ড্যানিয়েল ওলমো। কিন্তু ইতালির গোলরক্ষক জানলুইজি দোন্নারুমাকে ভেদ করে তা জালে জড়াতে পারেনি।

৩৩ মিনিটের মাথায় ইতালির পোস্ট লক্ষ্য করে শট নেন ওলমো। যদিও বল ক্রসবারের উপর দিয়ে মাঠের বাইরে চলে যায়।

৩৯ মিনিটে আবার স্পেন কাউন্টার অ্যাটাকে মিকেল ওজাবাল ইতালির বিপজ্জনক স্পটে পৌঁছে যান। কিন্তু বল গোল পোস্টের উপর দিয়ে মাঠের বাইরে চলে যায়।

প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে গোলের সুযোগ আসে আজ্জুরিদের। কিন্তু ভাগ্যগুনে বেঁচে যায় স্পেন। ৪৫ মিনিটে এমারসনের শট ক্রসবারে প্রতিহত হয়। ম্যাচের প্রথমার্ধে এটিই স্পেনের পোস্ট লক্ষ্য করে ইতালির একমাত্র যথাযথ শট।

গোলশূন্য অবস্থাতেই বিরতিতে যায় দুই দল।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে দুর্দান্ত খেলতে থাকা ইমমোবিলকে ৫১ মিনিটের মাথায় ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন সের্হিও বুসকেতস।

৫৩ মিনিটের মাথায় ফেডেরিকো চিয়েসা শট প্রতিহত করেন স্প্যানিশ গোলরক্ষক। এর পাঁচ মিনিট পরেই মিকেলের আক্রমণ প্রতিহত করেন ইতালির গোলরক্ষক দোনারুমা।

তবে ৬০ মিনিটের মাথায় সফল হন চিয়েসা। স্পেনের রক্ষণকে ভেঙে ইতালিকে লিড এনে দেন। মার্কো ভেরাত্তির বাড়ানো বল ডি-বক্সের মুখে রুখে দিয়েছিলেন এমেরিক লাপোর্ত, কিন্তু বল চলে যায় চিয়েসার পায়ে। দ্রুত ডি-বক্সে ঢুকে জায়গা বানিয়ে একটু বাঁকানো শটে দূরের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন জুভেন্টাস ফরোয়ার্ড।

লিড নিয়েই ইমমোবিলকে তুলে নিয়ে বেরারদিকে মাঠে নামায় ইতালি। দেখাদেখি মিডফিল্ডার ফেরান তোরেসকে তুলে নিয়ে স্ট্রাইকার মোরাতাকে নামায় স্পেন।

বোঝাই যাচ্ছে, সমতায় ফিরতে কতোটা মরিয়া এনরিকে। সফলও হন তিনি। ৮০ মিনিটে ওলমোর পাস থেকে দুর্দান্ত গোল করেন মোরাতা। ম্য়াচে ১-১ সমতা ফেরে স্পেন।

এ নিয়ে ইউরোয় স্পেনের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৬টি গোল করার রেকর্ড গড়লেন মোরাতা। পেছনে ফেলে দিলেন ফার্নান্দো তোরেসকে।

এর আগে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন এনেছিল দুই দল। ৭০ মিনিটে মিকেল ও কোকের বদলে মোরেনো ও রদ্রিকে মাঠে নামায় স্পেন। ৭৪ মিনিট পর ভেরাত্তিকে উঠিলে মাতেওকে মাঠে নামায় ইতালি। এমারসনের বদলে মাঠে নামেন রাফায়েল।

৮৫ মিনিটে বারেল্লা ও ইনসাইনকে তুলে নিয়ে লোকাতেল্লি ও বেলোত্তিকে মাঠে নামায় ইতালি। অ্যাজপিলিকুয়েতার বদলে স্পেন মাঠে নামায় মার্কোস লরেন্তেকে।

কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। স্কোরার হতে পারেননি কেউ। ফলে ৯০ মিনিটের খেলার বাঁশি শেষে অতিরিক্ত সময় যোগ হয়।

৯৮ মিনিটে ওলমোর আক্রমণ প্রতিহত করেন ইতালির গোলরক্ষক দোন্নারুমা। অমিমাংসিতভাবেই শেষ হয় অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের খেলা।

অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সার্জিও বদলে স্পেন মাঠে নামায় আলকান্তারাকে। ধার বাড়ায় আক্রমণের। ১০৭ মিনিটে চিয়েসাকে তুলে বার্নারদেসচিকে মাঠে নামিয়ে আক্রমণের ধার বাড়ায় ইতালিও। দুই মিনিটে ফলাফল না আসায় গার্সিয়াকে তুলে নিয়ে পাউ তোরেসকে মাঠে নামায় স্পেন।

গোলের আসার দুই দলের খেলোয়াড়রা অফসাইডের আওতায় পড়তে থাকেন। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শেষে অর্থাৎ ১২০ মিনিট পরও জয়-পরাজয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

খেলার ভাগ্য গড়ায় টাইব্রেকারে। প্রথম শটে ব্যর্থ ইতালি ও স্পেন দুই পক্ষই। লোকাতেল্লির শট বাঁচিয়ে দেন স্পেনের গোলরক্ষক উনাই সিমোন। দানি ওলমোর শট ক্রসবারের উপর দিয়ে উড়ে যায়। সফল হন বেলোত্তি। মোরেনোও সফল হন।

গোল করেন ইতালির বোনুচ্চি। গোল করেন আলকান্তারাও। চার শট শেষেও ২-২ সমতা। এরপর বল জালে জড়াতে সক্ষম হন ইতালির বার্নারদেসচি। কিন্তু মূল ম্যাচের স্কোরার মোরাতার শট বাঁচিয়ে দেন ইতালির দোন্নারুমা।

স্কোর হয় ৩-২। জোরগিনহো গোল করলে স্কোর হয় ৪-২। ফাইানালের টিকিট নিশ্চিত করে মানচিনির শিষ্যরা।

টাইব্রেকারটি দেখুন –

https://youtu.be/mdX0yR0NoZs

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ