বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ১১:৪২ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি: বর্তমান সময়ে ফেসবুক হয়ে উঠেছে যোগাযোগের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম। এর মাধ্যমে খুব দ্রুত লোকজনের সাথে যোগাযোগ হয়ে যায়। কিন্তু এর উল্টোদিকও রয়েছে মারাত্মকভাবে। এই সামাজিক ভার্চুয়াল মাধ্যমটিতে খুব সহজে কুৎসাও রটানো যায়। হরহামেশা কোন ধরণের প্রমাণ ছাড়াই ফেসবুকে মিথ্যা গুজব প্রচার করা যায়। অনেক নিরপরাধ ব্যক্তি খুব সহজে এর শিকারে পরিণত হচ্ছেন। সম্প্রতি এই ‘মিথ্যাচারের’ কবলে পড়েছেন জেলা যুবদল সেক্রেটারি জালাল আহমেদ।
হবিগঞ্জে ১৮টি সাংগঠনিক ইউনিটের কমিটি গঠন নিয়ে জেলা যুবদল সেক্রেটারি জালাল আহমেদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি ফেসবুক একাউন্টে অর্থ কেলেংকারির অভিযোগ তোলা হয়েছে। যা নিয়ে গত কয়েকদিন যাবত যুবদলের ভেতরে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। কিন্তু যেসব ফেসবুক আইডি থেকে অর্থ কেলেংকারির অভিযোগ আনা হয়েছে, তার একটিরও কোনধরণের নির্ভরযোগ্যতা নেই। কয়েকটি আইডি থেকে অর্থ কেলেংকারির অভিযোগ আনা হয়েছে অথচ এই একাউন্ট এখন খুঁজে পায়নি দৈনিক প্রভাকর। আবার একটি একাউন্ট তার নামও বদলে দিয়েছে। অপরদিকে এইসব মিথ্যা প্রচারের কারণে জেলা যুবদল সেক্রেটারি জালাল আহমেদ সামাজিক-রাজনৈতিকভাবে হচ্ছেন বিব্রত।
মিলন খান নামে এক যুবদল নেতার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে আর্থিক সহযোগিতা নিয়েছেন জালাল আহমেদ, এমন খবর প্রচার হয়েছে। অথচ সেই মিলন খান নিজেই একে মিথ্যা আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে জানতে দৈনিক প্রভাকর জালাল আহমেদের মুখোমুখি হয়। এসময় এই প্রতিবেদককে জালাল আহমেদ বলেন, ‘দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে কখনো অর্থের কাছে বিক্রি হইনি। বরং দলের প্রয়োজনে নিজের সর্বস্ব উজাড় করে দিয়েছি। আমার বিরুদ্ধে ছড়ানো এসব মিথ্যাচারকে সামনে থেকে মোকাবেলা করব।’
তিনি বলেন, ‘হবিগঞ্জ জেলার ১৮টি সাংগঠনিক ইউনিট নতুনভাবে গঠন করে যুবদলকে আরো বেগবান করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কেন্দ্রিয় কমিটির একটি টিমের তত্ত্বাবধানে কমিটিগুলো গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ত্যাগী ও সঠিক নেতাদের হাতে তৃণমূলের দায়িত্ব দিতেও আমি বদ্ধ পরিকর। কয়েকটি কমিটি নিয়ে জেলা যুবদলের শীর্ষ পাঁচ নেতার মধ্যে কিছু মতভিন্নতাও রয়েছে, যা থাকতেই পারে।’
জালাল আহমেদ আরো বলেন, ‘মতভিন্নতা একটি রাজনৈতিক সৌন্দর্য। কিন্তু এসবকে পুঁজিকরে যদি কেউ রাজনৈতিকভাবে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করতে চান, ত হবে শিষ্টাচারবহির্ভূত। তবে অবশ্যই মিথ্যা দিয়ে সত্যকে আড়াল করা যাবে না। অবশ্যই মিথ্যাচার প্রচারকারীদের মুখোশ উন্মোচিত হবে।’