বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ০২:৫০ পূর্বাহ্ন
করাঙ্গীনিউজ: ‘ঘোড়ায় চেপে স্বপ্নের রাজপুত্র এসে নিয়ে যাবে রাজকন্যাকে’- এমন গল্পকথায় এ উপমার দেখা হামেশাই মেলে। তবে যুগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে একালের রাজকন্যাদের বিয়ের গল্পেরও আধুনিকায়ন হয়েছে বৈকি! এখন রাজকন্যাদের স্বপ্নের রাজপুত্র আর ঘোড়ায় চেপে নয়, আসেন হেলিকপ্টারে চেপে। এমনই এক রাজপুত্রের দেখা মিলল হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে।
সোমবার( ১১ ডিসেম্বর) দুপুরে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার কুতুবের চক ঈদগা মাঠে এসে নামল একটি হেলিকপ্টার। চারপাশে ততক্ষণে বেশ ভিড় জমে উঠেছে। উৎসুক গ্রামবাসী ওই হেলিকপ্টার উঠানামা ও বর দেখতে সেখানে ভিড় করেন। উৎসুক জনতার ভিড় ঠেকাতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। হেলিকপ্টারে বরের সাথে পিতা-মাতা ছিলেন। অন্য বরযাত্রীরা সড়ক পথে গাড়িতে যান বিয়েতে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে গেছেন শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার কদমতলী গ্রামের শফিক মিয়া ভান্ডারীর ছেলে আশরাফুল ইসলাম শিমুল। আর কনে বাহুবল উপজেলার উত্তর ডুবাঐ গ্রামের হাবিবুর রহমান ও মুমিনা বেগমের কন্যা।
বর শিমুলের বাবা শফিক মিয়া ভান্ডারী জানান, অনেক আগে থেকেই তার শখ ছিল ছেলের বিয়েটি তিনি স্মরণীয় করে রাখবেন। হেলিকপ্টারে করে ছেলের বউকে তার বাড়িতে আনবেন। সেই শখ পূরণে তিনি ব্যতিক্রমী এই আয়োজন করেন। তিনি মনে করেন এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে তার শখ পূরণ হয়েছে।
বর আশরাফুল ইসলাম শিমুল বলেন, আমি পড়াশোনা শেষ করে বাবার ব্যবসা দেখাশুনা করছি। বাবা-মায়ের শখ ছিল হেলিকপ্টারে বিয়ে করতে যাব। বাবা-মায়ের শখ পূরণ করতে পেরে অনেক ভালো লাগছে। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
স্থানীয়রা জানান, এই অঞ্চলে এ ধরনের বিয়ে এটাই প্রথম। এর আগে কোনোদিন এরকম রাজকীয় বিয়ে হয়নি। বরের বাড়ি থেকে কনের বাড়ির দূরত্ব মাত্র ২০ কিলোমিটার। এতটুকু রাস্তা যেতে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট সময় লাগার কথা। এত অল্প দূরত্বের পথে এই আয়োজন সত্যি ব্যতিক্রম।