সেখানে সংযোগ সড়ক না থাকায় নবীগঞ্জ ও বানিয়াচং উপজেলার ২ লক্ষ মানুষকে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সাধারণত বর্ষাকাল ছাড়া এই দুই উপজেলার মানুষ সেতুর নিচ দিয়েই যাতায়াত করে থাকেন। এই সড়ক দিয়েই কৃষকরা হাওরের ফসল ঘরে তোলেন। তখন ফসলসহ নিচ দিয়ে চলাচল করতে তাদের নানা জটিলতায় পড়তে হয়। বর্ষাকালে এই দুর্ভোগ যেন চরমে রূপ নেয়। কারণ তখন ব্রিজের নিচে পানি জমে যায়। ফলে চলাচল করা কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।
চানপুর গ্রামের আব্দুর রউফ বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধিরা একাধিকবার এই সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও আজ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি। এ ব্যাপারে অনেকের দ্বারস্থ হলেও তেমন সাড়া মেলে নি।
স্থানীয় কৃষক আব্দুর রশিদ বলেন, সেতুর সংযোগ সড়ক না থাকায় বর্ষাকালে ফসলসহ অন্যান্য পণ্য নিয়ে যাতায়াতের সময় ব্রিজের নিচে এসে গাড়ি থেমে যায়। ফলে এসব নৌকায় করে খাল পার করে ফের গাড়িতে তুলতে হয়। এতে শারীরিক পরিশ্রমের পাশাপাশি যেমন ফসলের ক্ষতি হয় তেমনি আর্থিকভাবে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হই।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাবেদুল আলম চৌধুরী সাজু বলেন, নবীগঞ্জ উপজেলার গুজাখাইর, বেগমপুর, উমরপুর ও দুর্গাপুর এবং বানিয়াচং উপজেলার কাগাপাশা, চানপুরসহ ২০ গ্রামের মানুষ এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে। তবে সেতুটি বানিয়াচং না নবীগঞ্জ উপজেলার আওতায় পড়েছে তা নিয়ে দ্বন্দ্ব আছে। এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবো।