বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১২:০৬ পূর্বাহ্ন
প্রেস বিজ্ঞপ্তি: আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ বুধবার বিকেল ৩.৩০টায় শহিদ সোলেমান হলে সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি: নং চট্ট: ১৯৩৩) এর অনুষ্ঠিতব্য ১০ম জেলা সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় দক্ষিণ সুরমা উপজেলা শাখার উদ্যোগে প্রচার মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
দক্ষিণ সুরমার ক্বীন ব্রিজ পয়েন্ট থেকে প্রচার মিছিল শুরু হয়ে বাবনা-স্টেশন রোডসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে কদমতলী পয়েন্টে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। পথসভায় সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা শাখার সভাপতি মো. মনির হোসেন। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন এর সভাপতি মো. ছাদেক মিয়া।
সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন এর দক্ষিণ সুরমা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আনছার আলীর পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা শাখার যুগ্ম-সম্পাদক নাজমুল হোসেন ও রমজান আলী পটু, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমদাদুল হক ইমন, সিলেট জেলা প্রেস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি একে আজাদ সরকার, কদমতলী আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি ফয়েজ খাঁন, বাবনা আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. মুমিন মিয়া, চন্ডিপুল আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুনু মিয়া সাগর, আম্বরখানা আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি রাশেদ আহমদ ভূইয়া ও সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন, শাহপরাণ থানা কমিটির সহ-সভাপতি জয়রাল আবেদীন, বন্দরবাজার আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলম, জিন্দাবাজার আঞ্চলিক কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক বদরুল আজাদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ শ্রমিক সেক্টর হচ্ছে হোটেল রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক সেক্টর। গ্রাম্য জোতদার মহাজনের শোষণে জমি-জমা হারিয়ে জীবিকার তাগিদে শহরে এসে হোটেল সেক্টরে অমানুষিক পরিশ্রম করে দুঃখ কষ্টের জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে বাধ্য হচ্ছি। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত যে শ্রমিকরা হোটেল রেস্টুরেন্টে সুন্দর ও মজাদার রকমারি খাবার তৈরি ও পরিবেশন করে তাদের পরিবারেই সবদিন দুবেলা ডাল-ভাত জুটে না। চাল, ডাল, তেল, চিনি, লবনসহ প্রত্যেকটি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধির কারণে জনজীবন আজকে দূর্বিসহ হয়ে পড়ছে। মালিকের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও মালিক আমাদেরকে নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্র দেয়নি; নির্দিষ্ট কর্মঘন্টা ও মানসম্মত কাজের পরিবেশের ব্যবস্থা নেই, এমনকি থাকা খাওয়ার নিশ্চয়তাও নেই। দেশে চরম বেকারত্বের কারণে যতসামান্য বেতনে আমাদেরক কাজ করতে বাধ্য করা হয়। সরকার গত জাতীয় কমিশনে সরকারি কর্মচারী, মন্ত্রী, এমপিসহ সর্বস্তরের সুবিধাভোগিদের বেতন ভাতা দিগুণ করেছে।
কিন্তু হোটেলসহ বিভিন্ন সেক্টরে কর্মরত শ্রমিক ও শ্রমজীবীরা সরকারের এ বেতন কমিশন থেকে বঞ্চিত। দীর্ঘদিন আমাদের আন্দোলন সংগ্রামের ফলে অনেকটা বাধ্য হয়ে সরকার হোটেল সেক্টরে নিন্মতম মজুরি বোর্ড গঠন করে এবং একটি গেজেট প্রকাশ করে। হোটেল সেক্টরের জন্য যে গেজেট ঘোষণা করা হয়েছ বর্তমান বাজারে তা দিয়ে এক সপ্তাহ চলাই কষ্টসাধ্য। নামমাত্র বেতন নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করলেও মালিকরা তা বাস্তবায়ন করছে না। সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরও গেজেট বাস্তবায়নের প্রেক্ষিতে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। শ্রমিকরা উদ্যোগী হয়ে গেজেট বাস্তবায়নের কথা বললে মালিক ও তার ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা শ্রমিকদেরকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে এবং বিভিন্ন হুমকী দেয়। অনেক সময় কোনো ধরনের আইনি পাওনা না দিয়েই বিনা নোটিশে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে দেয়। বক্তারা এসব নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি, বিকেল ৩.৩০টায় শহিদ সোলেমান হলে অনুষ্ঠিতব্য ১০ম জেলা সম্মেলন সফল করার আহবান জানান।