• Youtube
  • English Version
  • শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ০২:১২ পূর্বাহ্ন

করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

বাহুবলে বালু পচারকারীরা বেপরোয়া: মানছে না আদালতের নিষেধাজ্ঞা

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:  হবিগঞ্জের বাহুবলে বালু পচারকারীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা আদালতের নিষেধাজ্ঞাও মানছে না।

শুক্রবার বাহুবল মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের মৃত আবাছ উল্লার পুত্র আহসানুল করিম ফারুক।

অভিযোগে জানা যায়, বাহুবল উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ফসলী জমি থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে গভীর গর্ত খনন করে বালু উত্তোলন ও প্রচারের মহোৎসব চলছে। এতে ফসলী জমি ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে গ্রামীণ রাস্তাঘাট।

উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের উল্লেখিত আহসানুল করিম ফারুক কিছুদিন পূর্বে তার মৌরসী প্রায় তিন একর আউশ ও আমন ভূমি দখল করে স্বগ্রামের মৃত তালেব আলীর পুত্র রুছমত আলী ও তার পুত্র আহাদ মিয়া এবং আব্দানারায়ন গ্রামের মৃত আব্দুল মতলিবের পুত্র খন্দকার মঞ্জুর আলী ও রাজা মিয়ার পুত্র খন্দকার সুহেল মিয়া জোরে বলে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের পায়তারা চালাচ্ছে উল্লেখ করে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এ প্রেক্ষিতে আদালত শান্তি-শৃঙ্খলার স্বার্থে বিবদমান জমিতে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। এ অবস্থায় উল্লেখিত ব্যক্তিগণ উক্ত বিবদমান জমি থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে গভীর গর্ত করে বালু উত্তোলন করে পাচার কাজে লিপ্ত হয়।

আদালতের বরাত দিয়ে পুটিজুরী তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মোঃ মনিরুজ্জামান উভয় পক্ষকে নোটিশ দিয়ে শান্তি-শৃঙ্খলা বজার রাখার জন্য আহ্বান জানালেও উল্লেখিত ব্যক্তিগণ তার তোয়াক্কা করছেন না।

এ অবস্থায় শুক্রবার রাতে উক্ত জমির মালিক আহসানুল করিম ফারুক বাহুবল মডেল থানার ওসি বরাবর লিখিত অভিযোগে দাবি করেন যে, আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে উল্লেখিত রুছমত আলী, আহাদ মিয়া, খন্দকার মঞ্জুর আলী ও খন্দকার সুহেল মিয়া ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে ফসলী জমিটি বিনষ্ট করে দিচ্ছে।

আবেদনকারী ফারুক তার অভিযোগ দাবি করেন যে, তার ন্যায্য স্বত্ত্ব-স্বার্থ রক্ষার্থে বালু উত্তোলনকারীদের বাঁধা দিলে তারা তাকে খুন-জখম করতে পারে। এ আশঙ্কায় তিনি বাঁধা দিতে পারছেন না।

আলাপকালে এ প্রতিবেদককে তিনি বলেন, আমি আমার ফসলী জমি বাঁচাতে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে বার বার গেছি, কোন কাজ হয়নি। মামলা দায়ের করেও বালুখেকোদের দমাতে পারছি না।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ