বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ১০:০২ অপরাহ্ন
১৭ অক্টোবর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রাজস্ব শাখায় খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, অভিযোগটি এখনও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এর টেবিলেই যায়নি। সংশ্লিষ্ট কর্মচারী জানান- এটা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এর নিকট উপস্থাপন করার পর তিনি নির্দেশনা দেবেন। এ ব্যাপারে কার্যক্রম শুরু হতে আরও ৩/৪ দিন দেরি হবে। এটার অনুলিপি সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর দেয়া হয়েছে। উনার সাথে একটু যোগাযোগ করলে ভালো হবে।
১৮ অক্টোবর সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়- ড্রেজার মেশিনের সাহায্যে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। গোপলা নদী থেকে বড় বড় পাইপ দিয়ে আনুমানিক কোয়ার্টার কিলোমিটার দূরে পাকা রাস্তা সংলগ্ন জমিতে উক্ত বালু স্তুপিকৃত করা হচ্ছে। ড্রেজার মেশিন পরিচালনা করছে রায়হান সরকার ও লোকমান মিয়া নামে দুই ব্যক্তি। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় তারা ড্রেজার মেশিন পরিচালনাকারী দিনমজুর। দৈনিক ৫শ টাকা মজুরীতে কাজ করছেন। বালু উত্তোলনের কাজ করাচ্ছেন মুহিত মেম্বার ও মহসিন মেম্বার।
অভিযোগকারী রকিব মিয়া ছাড়াও পরিচয় গোপন রাখার শর্তে স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন- অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারী সব দপ্তরে অনুলিপিসহ জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করার দুইসপ্তাহ অতিক্রান্ত হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা। জনসেবার জন্য নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা যদি অবৈধ কাজে লিপ্ত হয় তাহলে তাদের দ্বারা এলাকার উন্নয়ন সম্ভব কিভাবে ? জনসেবা ও অবৈধ কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়োগকৃত সরকারী কর্মকর্তারা যদি অবৈধ কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা না নেন তাহলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব কিভাবে ? আমরা রাতগাঁও-নারাইনপাশায় গোপলা নদী থেকে মুহিব মেম্বার ও মহসিন মেম্বারের অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবী জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে বক্তব্য জানার জন্য মুহিত মেম্বার ও মহসিন মেম্বারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।