• Youtube
  • English Version
  • শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ০১:০৪ পূর্বাহ্ন

করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

সিলেটে প্রার্থী হওয়ার ইঙ্গিত আরিফের

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: বুধবার, ৩ মে, ২০২৩

করাঙ্গীনিউজ:
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন দোটানায় থাকা মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। ঐতিহাসিক রেজিস্টারি মাঠে ২০ মে বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য মেয়র আরিফ তার প্রার্থিতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে চান। তবে ইভিএম নিয়ে তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। মে দিবসের র‌্যালি পূর্ববর্তী সমাবেশে দেওয়া মেয়র আরিফের এমন বক্তব্যের সূত্র ধরে র‌্যালি পরবর্তী সমাবেশে বিএনপি নেতারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।

সিলেট জেলা ও মহানগর শ্রমিক দলের র‌্যালি পূর্ববর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, আগামী সিটি নির্বাচনে বিএনপি যাচ্ছে না। তবে কেন নির্বাচনে যাবে সে বিষয়টি রেজিস্টারি মাঠের ২০ মের সমাবেশে খোলাসা হবে। নির্বাচনি প্রক্রিয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, এ সিটিতে নির্বাচন কমিশন প্রহসনের নির্বাচন করতে চায়।

যেখানে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে সেখানে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম দেওয়া হয়েছে। এ ইভিএম মেকানিজমের মেশিন! ভোটারের পছন্দের প্রার্থীর ভোট আরেক প্রার্থীর হিসাবে চলে যায়! তিনি বলেন, যে ইভিএম প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে সেই ইভিএম দিয়ে সিটি নির্বাচন মানব না। সিটি নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতি বাতিল করতে হবে। ইভিএমে ভোট মানি না।

মেয়র আরিফ দাবি করেন, সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে মহানগরীর প্রশাসনিক রদবদল চলছে। প্রশাসনে যারা আসছেন তাদের সব তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। প্রশাসনে যারা এসেছেন তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সিলেটের মাটিতে ওলি-আউলিয়ারা ঘুমিয়ে আছেন-এটি আধ্যাত্মিক নগরী। এ নগরীতে অন্যায় করে কেউ অতীতে পার পায়নি, ভবিষ্যতেও পাবে না। আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে উদ্দেশ করে মেয়র আরিফ বলেন, মহানগরীর রাজনৈতিক নেতারা নেতৃত্ব দিতে জানেন, বাইরে থেকে কাউকে ভাড়া করে এনে মহানগরীর মানুষকে দাস বানানো মানবে না নগরীর মানুষ।

শ্রমিক দলের র‌্যালি নগরীর আম্বরখানায় গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালি পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির বলেন, আওয়ামী লীগের অপশাসনে দেশের শ্রমজীবী মানুষ সবচেয়ে কষ্টে আছে। নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীন, বারবার তেল-গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে দেশের সাধারণ মানুষ ভালো নেই। সরকার সিটি করপোরেশন নির্বাচনের নামে জনগণের সঙ্গে তামাশা করছে। বিএনপির গণতান্ত্রিক আন্দোলন ভিন্ন খাতে নিয়ে যেতে চায় সরকার।

জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি সুরমান আলীর সভাপতিত্বে এবং জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান ও মহানগর শ্রমিক দলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জীবনের যৌথ সঞ্চালনায় র‌্যালি পরবর্তী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী। সমাবেশে বলা হয়-আওয়ামী লীগের পাতানো ফাঁদে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী পা দেবে না। দলের কোনো নেতা বা কর্মী প্রহসনের নির্বাচনে অংশ নিলে তা বরদাস্ত করা হবে না।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ