মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০৪:০৮ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি,সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে টেন্ডার ছিনতাইয়ের ঘটনায় সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এহসান আহমেদ উজ্জ্বলকে দলীয় পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের সাড়ে তিন কোটি টাকার একটি দরপত্র জমাদানে বাধা ও ছিনিয়ে নেওয়ার এবং পরবর্তীতে দ্রুত বিচার আইনে মামলার ঘটনায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুবলীগ।
জেলা যুবলীগের সভাপতি খায়রুল হুদা চপল সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে জেলা শাখার পক্ষ থেকে রোববার রাতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
জেলা যুবলীগের দেওয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সদর হাসপাতালে দরপত্র জমাদানকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা শাখার সভাপতি এহসান আহমেদ উজ্জ্বলের নামে সুনামগঞ্জ সদর থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়। এই ঘটনাকে দলীয় শৃঙ্খলা লঙ্ঘন ও গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী মনে করে যুবলীগ।এতে সংগঠনের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এ অবস্থায় গঠনতন্ত্রের ২২ (ক) ধারা মোতাবেক বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাঈনুল হোসেন খান নিখিলের নির্দেশক্রমে এহসান আহমেদ উজ্জ্বলকে দলীয় পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকার ওষুধপত্র ক্রয়ের দরপত্র জমা প্রদানে বাধাদান ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটায় এহসান আহমেদ উজ্জ্বলের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ।
ঘটনার পরপরই আটক হন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শহরের তেঘরিয়া এলাকার বাসিন্দা এহসান আহমেদ উজ্জ্বল (৩৪), একই এলাকার বাসিন্দা যুবলীগের কর্মী তাজুল ইসলাম (৩৪), রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার ধাইর গ্রামের শাওন আহমদ (২৯), শহরের আরপিননগর এলাকার বাসিন্দা রিগান আহমদ (২৮) এবং সুনামগঞ্জ শহরতলির মাইজবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা হামিদুর রহমান (২৪)।
এ ঘটনায় বুধবার রাতেই একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঈগল এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি ভোলার চরফ্যাশন এলাকার বাসিন্দা পাবেল মিয়া বাদী হয়ে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখপূর্বক ২০-২৫ জনকে আসামি করে দ্রুত বিচার আইনে মামলা করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের ওষুধসহ বিভিন্ন সামগ্রী ক্রয়কাজের দরপত্র জমাদানের নির্ধারিত দিন ছিল বুধবার। সকালে হাসপাতালে দরপত্র জমা দিতে আসা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লোকজনকে দরপত্র জমা দিতে বাধা দেন এবং কারও কারও কাছ থেকে দরপত্রের কাগজ ছিনিয়ে নেন গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা। পরে বিষয়টি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আনিসুর রহমান পুলিশকে জানান। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগে বাধাদানকারীরা সেখান থেকে চলে যান। এরপর পুলিশ সিসিটিভির ফুটেজ দেখে হাসপাতাল ও শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাঁচজনকে আটক করে।