বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ০১:১৮ পূর্বাহ্ন
পিন্টু দেবনাথ, কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার): গ্রীষ্মকালীন মধুভরা মাস। এই জ্যৈষ্ঠ মধুমাসে আনারসের ভরা মৌসুম চলছে এখন। আনারসের মৌ মৌ ঘ্রানে প্রাণ জড়িয়ে যায়। বাজারের রাস্তা দুই পাশে আনারসের চোখ জড়ানো সারি দেখলে কার না ভালো লাগে।
মৌলভীবাজারেরর কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলা হচ্ছে পাহাড়ী অঞ্চল। এই অঞ্চলে সকল ধরনের ফসল চাষাবাদের উপযুক্ত স্থান হিসাবে বিবেচিত। জ্যৈষ্ঠ মাসে অন্যান্য ফলের চেয়ে আনারস অতিমাত্রায় চাহিদা রয়েছে। যার কারণে দামও সহনশীলতার মধ্যে রয়েছে। ভোরে পাহাড়ী টিলা থেকে আনারস বোঝাই করা প্রতিদিন জীপ, সিএনজি চালিত অটোরিকশা এবং ঠেলাগাড়ী যোগে লাইন বেঁধে আসে। বোঝাইকৃত ঠেলাগাড়ী সামনের দিক মাটিতে মুখ দিয়ে তার পিঠে রাখা আনারসকে ডিসপ্লের মতো করে সাজিয়ে রাখা হয় রাস্তার দু’ পাশে। যেন পাইকারি খুচরা ক্রেতারা এগুলো দেখে সহজে আকৃষ্ট হন। দূর-দূরান্ত থেকে ছোট-বড় আড়ৎদাররা আসেন আনারস বাজারে তাদের পছন্দমত আনারস ক্রয় করতে। তবে স্থানীয় আনারস চাষিদের প্রতি ক্ষোভের বর্হিপ্রকাশ রয়েছে আনারসের খুচরা বিক্রেতাদের।
তাদের দাবি আনারস চাষিরা ঠেলাগাডীর ভেতরে ছোট-মাঝারি সাইজের আনারস রেখে বড় সাইজের আনারসের দাম নিয়ে থাকে। ফলে তাদের ক্ষতি হয়। প্রতি ঠেলাতে ১০০ পিছ ছোট আনারস পাইকারী বিক্রি হচ্ছে ৬শ’ টাকা থেকে ৭শ’ টাকা। মাঝারী সাইজের আনারস বিক্রি হচ্ছে ১২শ’ থেকে ১৫শ’ টাকা এবং বড় সাইজের আনারস ১৮শ’ থেকে ২ হাজার টাকা দরে। তবে খুচরা বিক্রেতা ডাবল দামে বিক্রি করছেন বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (২৮ মে) বাজার ঘুরে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আনারসের চাহিদা ব্যাপক রয়েছে। নবীগঞ্জ, হবিগঞ্জ, শায়েস্তাগঞ্জ, মিরপুর, মৌলভীবাজার, সিলেট, ঢাকাসহ দেশের নানা জায়গা থেকে ক্রেতারা আসছেন। এই সময়ে আনারসের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। পছন্দ মত আনারস ক্রয় করে নিজেদের এলাকায় নিয়ে যান পাইকাররা। দাম সহনীয় থাকায় দ্রুতগতিতেই আনারস বিক্রি হয়ে যায়।