রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন
ক্রীড়া ডেস্ক: ৩৬ পার করে ৩৭-এ পা দিলেন বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার। ১৯৮৩ সালের ৫ অক্টোবর নড়াইল শহরের মহিষখোলায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার বাবার নাম গোলাম মুর্তজা স্বপন। মায়ের নাম হামিদা মুর্তজা বলাকা।
দুই ভাইয়ের মধ্যে মাশরাফি বড়। কৈশোরে স্বভাবে ছিলেন দুরন্ত। ছেলেবেলায় এলাকায় কৌশিক নামে সবার কাছে পরিচিত ছিলেন।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে জাতীয় দলের দরজা খুলে যায় মাশরাফির। ২০০১ সালে বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে অভিষেক ঘটে তার। এর পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। সামনে আগানোর পথে এসেছে বহু বাধা ও ইনজুরির হানা। সাত-সাতবার ছুরি-কাঁচির নিচে যেতে হয়েছে তাকে। তবে কোনো কিছুই দমাতে পারেনি। সব প্রতিকূলতাকে তুচ্ছ করে এগিয়ে গেছেন তিনি। টাইগার ওয়ানডে দলের অধিনায়ক এখন সেই দুরন্ত ছেলেটিই।
বাংলাদেশ ক্রিকেটে দিনবদলের অধিনায়ক মাশরাফি। দেশের ক্রিকেটকে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেয়ার নেপথ্য নায়ক তিনি। তার নেতৃত্বেই টাইগাররা শিখেছে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পর কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয়, কখন হুঙ্কার ছুড়তে হয়, চোখ রাঙাতে হয়। ম্যাশের অধীনে এসেছে বহু সাফল্য। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশ এখন পরাশক্তি। ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণেও সমীহ আদায় করে নিচ্ছে। ওর প্রেরণা, দৃঢ়তা, ইস্পাত-পাথরতুল্য মানসিকতার কারণেই তা সম্ভব হয়েছে।
২০০৯ সাল পর্যন্ত মোট ৩৬টি টেস্ট খেলেন মাশরাফি। এ ফরম্যাটে তার উইকেটসংখ্যা ৭৮টি। এ সংস্করণ থেকে এখনও অবসরের ঘোষণা দেননি তিনি। তবে আর ফিরবেন বলে মনে হয় না। একই বছর ওয়ানডেতে অভিষেক ঘটে এ গতি-তারকার।
সবশেষ এশিয়া কাপের ফাইনাল পর্যন্ত ১৯৬টি ৫০ ওভারের ম্যাচ খেলেছেন তিনি। বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে শিকার করেছেন ২৫০ উইকেট (২৫১টি)। গেল বছর টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেন নড়াইল এক্সপ্রেস। ৫৪ ম্যাচে এ ফরম্যাটে তা শিকার ৪২ উইকেট।