এ ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সল মাহমুদ জানান, দিন দিন মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলছে। তার একমাত্র কারণ হলো বেপরোয়াভাবে চালানো ও হেলমেট ব্যবহার না করা। তাই বেপরোয়া মোটরসাইকেল ও হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে বেশ কিছুদিন থেকেই অভিযান চলছে। বর্তমানে কেউ যাতে কোনো অবস্থায় হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালাতে না পারে সেজন্য ‘নো হেলমেট, নো পেট্রোল’ ব্যাতিক্রমী এ উদ্যোগ।
এ উদ্যোগ মনিটরিং এর ব্যপারে তিনি বলেন- সিলেট মহানগরীর ট্রাফিক বিভাগকে ১১ টি জোনে ভাগ করা আছে। প্রতিটার দায়িত্বে থাকেন একজন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর। তাদের অধিনে অন্যরা কাজ করেন। মূলত তারাই এর মরিটরিং করবে।
মঙ্গলবার ‘হেলমেট আছেতো জ্বালানী আছে’ কার্যক্রম উদ্বোধনকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. ফয়সাল মাহমুদ, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া এন্ড কমিউনিটি সার্ভিস) মো. জেদান আল মুসা, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) নিকুলিন চাকমাসহ ফিলিং স্টেশন ওনার্স এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন ফিলিং স্টেশনের মালিকগণ, এসএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
প্রসঙ্গত, সিলেটের সড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আরোহীর মৃত্যু নতুন কিছু নয়। বিশেষ করে হেলমেট না থাকার কারণেই ছোটখাটো দুর্ঘটনাতেই হয় মৃত্যু। এজন্য ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে মোটরবাইক চলাচলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে হেলমেট ব্যবহার ও দুইজনের বেশি আরোহী বহন না করতে বেশ কড়াকড়ি আরোপ করেও কোন কাজ হচ্ছিলো না।
এ অবস্থায় ভিন্ন ও ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ ‘নো হেলমেট, নো পেট্রোল’ গ্রহণ করে সিলেট মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। এমন উদ্যোগের ফলে হেলমেট ছাড়া কোন মোটরসাইকেল আরোহী আর পেট্রোল কিনতে পারবেন না।
গত দিন চারেক পূর্বে নতুন এ উদ্যোগ নিয়ে ট্রাফিক বিভাগের সাথে পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতিও একমত পোষণ করেছেন।