আহতদেরকে বাহুবল ও হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালসহ স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
সোমবার রাত ও মঙ্গলবার দুুপুরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এর আগে সোমবার (২৬ আগষ্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় উপজেলার মিরপুর বাজারে টাকা পাওনাকে কেন্দ্র করে একই উপজেলার লামাতাসি গ্রামের ট্রেইলার আলফু মিয়ার সাথে বানিয়াগাঁও গ্রামের আকল আলীর ছেলে আল আমিনের কথা কাটা-কাটি হয়। বিষয়টি সমাধান করার জন্য বানিয়াগাঁও গ্রামের আঃ শহিদ মিয়ার ছেলে সাদ্দাম মিয়া চেষ্টা করলে তার উপর অতর্কিত হামলা চালায় আলফু মিয়ার লোকজন।
বিষয়টি উভয় পক্ষের গ্রামের লোকজনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে মিরপুর বাজারে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। পরে লামাতাশি ও বানিয়াগাঁও গ্রামের লোকজন দেশিয় অস্ত্র সস্ত্র ও ইট পাঠকেল নিয়ে মিরপুর বাজারে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষ বাড়তে থাকলে সংঘর্ষটি রুপ নেয় পরগনায়। উভয় পক্ষের লোকজন মসজিদের মাইকে ঘোষনা দিয়ে লামাতাশি গ্রামের পক্ষে ৫ গ্রাম ও বানিয়াগাঁও গ্রামের পক্ষে ৮ গ্রামের লোকজন সংষর্ষে লিপ্ত হয়। দুই পরগনার লোকজনের মধ্যে চলে ইট পাটকেল নিক্ষেপ, টানা রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলে এ সংঘর্ষ।
এক পর্যায়ে বশির প্লাজার সামনে থাকা পূবালী ব্যাংকের কর্মকর্তা উস্তার মিয়া মোল্লার একটি মোটরসাইকেল ও কিছু চেয়ার জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এসময় বিভিন্ন দোকান পাঠে হামলা ও ভাংচুর করা হয়। আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিভাতে চেষ্টা করে।
পরে রাত সাড়ে ১২টার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসলেও মঙ্গলবার আবারো সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে উভয়পক্ষের লোকজন।
মঙ্গলবার সকালে শালিসগণ গণিজাহান কমপ্লেক্সে বসে। এক পর্যায়ে মিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামীমকে নিয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে লামাতাসি গ্রামের লোকজনদের কাছে গেলে তারা চেয়ারম্যানের উপর হামলা করে, এ খবর ৮ গ্রামের লোকজনের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে আবারো সংঘর্ষ শুরু হয়। বৃষ্টির মত চলে উভয় পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ। এ সংঘর্ষ চলে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। ৪ ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষ চলাকালে আবারো মিরপুর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সদ্য বিদায়ী উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ লিয়কত হাসান, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি ও জামায়াত ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ লাল প্লেগ উড়িয়ে সংঘর্ষকারীদের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসেন।
সংঘর্ষ শেষ হলে বিকেল ৪টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
বাহুবল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মশিউর রহমানকে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।