মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন
জীবন আহমেদ লিটন, বানিয়াচং (হবিগঞ্জ): হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলা সদর ২ নং উত্তর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা বহু অপকর্মের হুতা হায়দারুজ্জামান খান ধন মিয়ার বাড়িতে আগুন দিয়েছেন ছাত্র-জনতা। গত ৫ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্যবিরুধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় স্থানীয় শহীদ মিনারে ব্যক্তিগত বন্দুক দিয়ে অন্দোলনকারীদের গুলি বর্ষণ করেন ধন মিয়া। এলাকাবাসীকে লোমহর্ষক নির্যাতন ও বন্দুক দিয়ে বহু মানুষকে আহতসহ অনেককে অন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
স্থানীয়রা জানান, গত ২ আগস্ট আন্দোলনকারীরা বানিয়াচংয়ে বিক্ষোভ করার সময় পুলিশের সাথে সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে ছল্ফভঙ্গ করতে ব্যর্থ হয়। ্এসময় চেয়ারম্যান ধন মিয়া তার বন্দুক দিয়ে গুলি বর্ষণ করেন। ৫ আগস্ট দুপুর ১২ টায় কয়েক হাজার আন্দোলনকারীরা থানা ঘেরাও করলে গুলিবিদ্ধ হয়ে ৯ জন ছাত্র-জনতা মারা যান।
এসময় থানার ভেতরে ধন মিয়া আত্মগোপনে আছেন দাবী করে তাকে জনতার হাতে তুলে দেওয়ার জন্য সেনা সদস্যের নিকট তুলে দেওয়ার দাবী করেন এবং তার বন্দুক দিয়েও গুলি বর্ষণ করে আন্দোলনকারীদের হত্যার অভিযোগ তুলেন উত্তেজিত ছাত্র-জনতা। সেখানে ধন মিয়াকে না পেয়ে কয়েকশ মানুষ ধন মিয়ার বাড়িতে গিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন এবং দুধর্ষ ধন মিয়াকে খোঁজতে থাকেন। এরপর থেকে চেয়ারম্যান তার বন্দুকসহ আত্মগোপনে আছেন।
এলাকাবাসী জানান- ধানের মিলের ড্রাইভার থেকে চেয়ারম্যান হয়ে দানব হয়ে উঠেন এবং বহু মানুষকে হত্যা ও নির্যাতন করেছেন তিনি। বিগত ৫ মে ২০২২ আধিপত্য নিয়ে হাজারো এলাকাবাসীর সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে তিনি নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করেন। এসময় সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল বাহার খান ও ইউপি সদস্য মখলিছ মিয়া চোখ হারান এবং অসংখ্য মানুষ গুলিবিদ্ধ হন। অপরদিকে নিজের আধিপত্ত বিস্তার করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার নাম করে চাঁদাবাজী করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি। তাকে গ্রেফতারের পাশাপাশি অবৈধ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে নিহতদের পরিবারকে সহায়তার দাবী জানান স্থানীয়রা।
বানিয়াচংয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেজর মাহি আহমেদ চৌধুরী বলেন, থানা পুলিশের কার্যক্রম চালু হলে অভিযোগের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।