মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০৩:৪৩ পূর্বাহ্ন
বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি : কৃষি জমিতে হাই ভোল্ডের বিদ্যুতের খুঁটি রেখেই পুকুর খনন, দীর্ঘ ১০ বছরেও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। পুকুর খননের আগে কৃষি জমির শ্রেণী পরিবর্তন করা হয়েছে কিনা এ বিষয়টিও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কারণ জমির মালিক মলাই মিয়া এই মুহূর্তে দেশের বাহিরে আছেন।
এ বিষয়ে বাহুবল পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে কর্মরত এজিএম শহিদুল্লাহ জানান, খোঁজ নিয়ে ঘটনা সত্য হলে পুকুরের মালিকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করবেন।
ঘটনাটি ঘটেছে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার ১ নং স্নানঘাট ইউনিয়নের মুদাহারপুর এলাকায়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মুদাহারপুর এলাকায় মলাই মিয়া নামের ওই ব্যক্তি মাছ চাষের জন্য কৃষি জমিতে বিরাট আকারের তিন চারটি পুকুর খনন করেছেন। এক একটি পুকুরের আয়তন প্রায় দুই থেকে তিন একর জমি হবে। খনন করা পুকুর গুলোর মাঝখানে ২-৩ টি বিদ্যুতের খুঁটি আছে। যেগুলো যেকোনো সময় পড়ে গিয়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দা হারুন মিয়া নামের এক ব্যক্তি জানান, কৃষি জমিতে কারেন্টের খুঁটি রেখে পুকুরগুলো খনন করা হয়েছে প্রায় ১০ থেকে ১৫ বছর আগে। এর পর থেকেই এলাকার মানুষ আতঙ্কিত তারা মনে করে ঝড় তুফানের বাতাসে কারেন্টের খুঁটি গুলো পড়ে গিয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
কারেন্টের খুঁটি সরানোর জন্য পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে কিনা এ বিষয়ে পুকুরের মালিক মলাই মিয়ার ছেলে মহিদুল ইসলাম জানান, এ বিষয়টি বাবা জানেন বাবা এই মুহূর্তে দেশের বাহিরে আছেন যার জন্য আমি কিছুই বলতে পারছিনা। পুকুর খননের আগে জমির শ্রেণী পরিবর্তন হয়েছে কিনা এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এ বিষয়টিও আমি নিশ্চিত নই সবকিছুই বাবা জানেন।