মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০১:১৪ অপরাহ্ন
শাহ্ মোস্তফা কামাল, শায়েস্তাগঞ্জ থেকে: এবার শায়েস্তাগঞ্জের বাজার কাঁপাতে তৈরি করা হয়েছে ২৫মন ওজনের জায়েদ খানকে। অতি যত্নে ও গরু প্রতিপালনে দক্ষ লোক দ্বারা বিক্রি উপযুক্ত করা হয়েছে এই গরুটিকে। শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার বাজারগুলোতে এখনো গরু কেনা-বেচা শুরু না হলেও আগ্রহী ক্রেতারা গরুর খামারগুলোতে যাতায়াত বৃদ্ধি করেছেন। ইতোমধ্যে খামারগুলোতে গরু দেখাশোনার পাশাপাশি চলছে পশু কেনা-বেচাও।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি পরিবেশ থাকায় পরিবার নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে কোরবানির পশু কেনার সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে খামারগুলোতে। বিচিত্র নাম ও নয়নাভিরাম আকার সমৃদ্ধ গরুগুলোই এখন খামারের মূল আকর্ষণ। শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সবচেয়ে বড় গরুটির নাম রাখা হয়েছে জায়েদ খান। জায়েদ খানকে
দেখতে ভীড় করছেন ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা।শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নিশাপট গ্রামে সুজন মিয়ার খামারে গত এক বছর যাবত পরম যত্নে লালন পালন করা হচ্ছে শাহীওয়াল জাতের জায়েদ খানকে। তার খাদ্য তালিকায় রয়েছে ভুসি, খইল, সবুজ ঘাস ও খড়সহ পুষ্টিকর দেশীয় দানাদার খাবার। লাল রঙের ২৫ মণ ওজনের জায়েদ খান লম্বায় ১০ ফুট ও উচ্চতা সাড়ে পাঁচ ফুট ছাড়িয়েছে। ঈদ উপলক্ষে প্রস্তুত করা জায়েদ খানের দাম পাঁচ লক্ষ টাকা হাঁকছেন খামারি। জায়েদ খান ছাড়াও তার খামারে বিক্রি যোাগ্য ৬ টি শাহীওয়াল ও দেশি জাতের গরু রয়েছে।
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের তথ্যে জানা গেছে, এ বছর শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় কুরবানী যোগ্য পশু রয়েছে মোট ২৪শ ৭৯ টি। যার মধ্যে গরু ২হাজার ২১ টি, ছাগল ৩৮১ টি এবং ভেড়া ৭৭ টি।
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা প্রাণী সম্পদক র্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ নাজিম উদ্দীনব লেন, সুজন মিয়ার গরুটি এ বছর প্রানী সম্পদপ্র দর্শনী মেলায় ১ম স্থান অর্জন করেছে। এটিই
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু। আশাকরি তিনি আশানুরূপ মুল্য পাবেন।