করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

বাহুবলের মিরপুর দাখিল মাদ্রাসা সুপার অফিস তালাবদ্ধ করে উধাও!

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: সোমবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৪

বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:
বাহুবল উপজেলার মিরপুর দাখিল মাদ্রাসা সুপার হাফেজ মাওলানা আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তিনি যোগদানের পর হতে দীর্ঘ ৩৩ বছর ধরে মাদ্রাসায় কোন অডিট হয়নি। চলতি ম্যানেজিং কমিটি প্রায় দুই বছর ধরে অডিটের ব্যাপারে বার বার তাগিদ দিলেও নানা ছল-চাতুরীর মাধ্যমে সুপার মাওলানা আলাউদ্দিন এড়িয়ে চলছেন। কমিটির নির্ধারিত সভায় এব্যাপারে আলোচনা করে অডিট কর্যক্রমে সহযোগিতা করার সিদ্ধান্ত নিলেও বরাবরই অসহযোগিতা করছেন বলে জানিয়েছেন কমিটির একাধিক সদস্য।

 

বিগত ৫ মার্চ কমিটির সভায় অডিটের বিষয়ে সকল সদস্য গুরুত্ব সহকারে বক্তব্য রাখেন এক সপ্তাহের মধ্যে অডিট কমিটির কাছে চাহিদাপত্র প্রদানের। এসময় সুপার আবারও দুই মাসের সময় প্রার্থনা করেন। এ প্রেক্ষিতে ২১ এপ্রিল অডিটের চুড়ান্ত তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এর ভিতর অডিট কমিটির পক্ষ হতে নিয়মিত যোগাযোগ করে সুপারকে তাগিদ দেওয়া হয় অডিট কমিটির কাছে ২১ এপ্রিল চাহিদাপত্র প্রদানের জন্য।

 

সুপার মাওলানা আলাউদ্দিন ২০২৩ সালের ব্যাংক স্টেটমেন্ট অনুযায়ী ৬ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা ব্যয়ের বিপরীতে ভাউচার অডিট কমিটির কাছে প্রদানের কথা থাকলেও সুপার তা দিতে টালবাহানা করছেন। এমনকি ২২এপ্রিল রবিবার নির্ধারিত তারিখে অডিট কর্যক্রমে সহযোগিতা না করে সুপার অফিস তালাবদ্ধ করে উধাও হয়ে যান।

জানা গেছে, সুপারের ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাব সহ ৩টি অ্যাকাউন্টে মাদ্রাসার আয়ের টাকা জমা রাখা হয়। মাদ্রাসার ব্যায় কাজে ৫ হাজারের অধিক কোন টাকা ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদন ছাড়া ব্যয় করার বিধান না থাকলেও সুপার মনগড়া ভাবে ব্যাংক থেকে ২০ হাজার থেকে লক্ষাধিক টাকা উত্তোলন করে তছরুপ করছেন। মাদ্রাসার আয় ব্যায়ের হিসাবও জানা নেই ম্যানেজিং কমিটির। এ নিয়ে কমিটির প্রায় মিটিংয়ে দেন দরবার হলেও তোয়াক্কা করছেন না সুপার হাফেজ আলাউদ্দিন।

 

অপরদিকে, গত ২৩ শে ফেব্রুয়ারী সহ সুপার পদে নিয়োগে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয। নিয়োগ বোর্ডের সুপারিশ অনুমোদনের জন্য গত ৫ মার্চ ম্যানেজিং কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নিয়োগ পরীক্ষায় লিখিত পরীক্ষার উত্তর পত্রে যথেষ্ট অসামঞ্জস্য পরিলক্ষিত হয়। ফলে ওই দিনের সভায় সহ সুপার পদে নিয়োগ বোর্ডের সুপারিশ অনুমোদন স্থগিত করে পরবর্তী সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ম্যানেজিং কমিটিতে ঐক্যমত হয় এবং লিখিত পরীক্ষায় অংশ গ্রহনকারী নিয়োগ প্রার্থীদের উত্তরপত্র জব্দ করা হয়। জানা যায়, পরীক্ষায় অংশ গ্রহনকারী সকলের খাতার উপরে আলাদা স্লিপে কম্পিউটার টাইপকৃত নাম থাকলেও একমাত্র মুসলেহ উদ্দিনের খাতার উপর হাতে লিখে শিট প্রেরণ করা হয়। এই আলামতকে জালিয়াতী হিসাবে সন্দেহের চোঁখে দেখছেন কমিটির সদস্যবৃন্দ। এ ব্যাপারে ৫ সদস্যের কমিটি তদন্ত করছেন।

অভিযোগ রয়েছে, কমিটির অনুমোদনের আগেই তড়িগড়ি করে মাদ্রাসার সুপার হাফেজ মাওলানা আলাউদ্দিন নিয়োগ প্রত্যাশী মাওলানা মুসলেহ উদ্দিনকে শিক্ষক প্যাটার্নে অধিকাংশ শিক্ষকের স্বাক্ষর নিয়ে অন্তর্ভুক্তি সিট তৈরী করেছেন।

এ নিয়ে কমিটির সদস্যসহ অভিভাবক মহলে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ