বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৩:১৯ অপরাহ্ন
শেখ মোঃ হারুনুর রশিদ,চুনারুঘাট:
চুনারুঘাট উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্লাবন পালের বিরুদ্ধে কাবিখা, কাবিটা, টিআরও, কর্মসৃজন, ব্রিজ-কালভার্টসহ বিভিন্ন প্রকল্প কাগজপত্রে ভুয়া মাস্টারুল তৈরি করে কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে আব্দুল জাহির নামে স্থানীয় বাসিন্দা হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও দুদক বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই কর্মকর্তা ৫ বছর আগে যোগদানের পর পর থেকেই এলাকায় একটি দুর্নীতির সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন।সাম্প্রতিক সময়ে শীতকালীন শীতবস্ত্র (কম্বল) অসহায় গ্রামঞ্চল,চা-বাগানে না দিয়ে তার পছন্দের লোকজনদের দেওয়াসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে ।শ্রমিকরা চটের ছালা গায়ে দিয়ে রাত্রিযাপনের দৃশ্য সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে চুনারুঘাটে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়,পিআইও প্লাবন পাল গত ৫ বছরে বিভিন্ন প্রকল্প খাতে হরিলুট করেছেন। তিনি ৪০ দিনের কর্মসিজনের কাজে প্রতি ইউনিয়ন থেকে ১০দিন করে মোট ১০০ দিনের কর্ম সিজনের কাজের টাকা আত্মসাৎ করেন। প্রতি কর্মসৃজনের মোট ৪০ লক্ষ করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার বেপরোয়া লুটপাট নিয়ে কেউ কোন প্রশ্ন করলে প্রকাশ্যে গালাগালি, দুর্ব্যবহার করে থাকেন। গত বছর এই আলোচিত পিআইওর অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্থানীয় একজন ইউপি চেয়ারম্যান মৌখিক অভিযোগ দিলেও কোন প্রতিকার হয়নি।উল্টো হ্যানস্তার শিকার হতে হয় তাকে। হতদরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন প্রকল্পের সকল পর্যায়ের ইউপি চেয়্যারম্যানদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা আদায় করার অভিযোগ রয়েছে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
অভিযোগ রয়েছে, ইউনিয়ন পরিষদের বাস্তবায়িত সব প্রকল্পের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ টাকাই ঘুষ নেন ওই কর্মকর্তা।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে পিআইও প্লাবন জানান,যিনি অভিযোগ করেছে সে কিছুদিন আগে আমার কাছে কম্বল চেয়েছিল।তবে ব্যক্তিগত ভাবে কাউকে কম্বল দেয়ার সুযোগ না থাকায় তাকে কম্বল দিতে পারিনি।এছাড়াও মাঝে মাঝে আমার কাছে বিভিন্ন জিনিস আবদার করতো। তার চাহিদা না মেটানোয় তারা এ অভিযোগ করেছে।আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয়।
অভিযোগকারী জাহির মিয়া কম্বল চাওয়ার বিষয়টি সত্য নয় বলে জানান।