বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৫:৩৪ অপরাহ্ন
শাহ মোস্তফা কামাল, শায়েস্তাগঞ্জ থেকে: হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকা ও আশপাশে জনবসতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে মশার উপদ্রব। একেতো অস্বাভাবিক দাবদাহ তার উপরে মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। অস্বাভাবিক আকারে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে মশার আক্রমণ। এত কিছুর পরও মশক নিধনে নজর নেই শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা কর্তৃপক্ষের।
এ নিয়ে পৌরবাসীর মধ্যে বিরাজ করছে চরম অসন্তোষ। সকাল সন্ধ্যা দুপুর রাত, বলতে গেলে সারাদিনই চলে মশার আক্রমণ। মশার কয়েল ব্যবহার করেও মশার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মিলছে না সাধারণ মানুষের।
পৌরবাসী বলছেন, পৌর এাবায় দীর্ঘদিন যাবৎ মশক নিধনে কোন কার্যক্রম না থাকায় আশংকাজনক হারে বেড়েছে মশার বংশ বিস্তার। মশার আক্রমণে পৌরবাসী অতিষ্ঠ হলেও মশার বিস্তার রোধ ও নিধনে কোন কার্যক্রম দেখা যায় না পৌরসভা কর্তৃপক্ষের।
এদিকে পৌরসভাধীন কাঁচা বাজার, রেল লাইনের পাশের ডোবা, কাঁচা পাকা ড্রেন-নর্দমাগুলোর পানি নিষ্কাশনের সুষ্ঠু কোনো ব্যবস্থা নাই। এতে করে নোংরা পানি জমে থাকে এবং মশা উৎপাদনের কারখানায় পরিণত হয়েছে ড্রেনগুলো। এ কারণে মশাবাহিত রোগ বালাই ছড়িয়ে পড়ারও আশংকা দেখা দিয়েছে সর্বত্র। স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ও বিষাক্ত মশার কয়েল জ্বালিয়েও রেহাই পাওয়া যাচ্ছেনা মশার আক্রমণ থেকে।
এবিষয়ে পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, গরম আসতে না আসতেই শুরু হয়েছে মশার উপদ্রব। মশার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে নিজ উদ্যোগে বাড়ির আঙ্গিনায় গজানো আগাছা ও জঙ্গল পরিষ্কার করেছি, তবুও দমানো যাচ্ছেনা মশার বংশ বিস্তার।
এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোস্তফা কামাল বলেন, গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় মশার ঔষধ ছিটানো হয়েছে । আবারো বরাদ্দ পাবার জন্য আমরা চেষ্টা করবো।