শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩০ পূর্বাহ্ন
শ্রীমঙ্গল ( মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি: শ্রীমঙ্গল কাকিয়া বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে দীর্ঘ ১০ বছর থেকে কর্মরত অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর মনছুর আহমদ। নিজ কর্মক্ষেত্রের বাহিরে তিনি মানুষের সেবায় নিজকে নিয়োজিত রেখেছেন।
তিনটি বিষয়ে মাস্টার ডিগ্রী সম্পন্নকারী মনছুর আহমদ কম্পিউটার প্রশিক্ষক হিসেবে এলাকার গরীব ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলের বাহিরে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছেন।
৫নং কালাপুর ইউনিয়নে প্রায় ৪ বছর শিক্ষার্থীদের তিনি ফ্রিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দিয়াছেন। তরুণ এই যুবক বহু মূখি প্রতিভার অধিকারী। অসহায় মানুষদের কিভাবে কাজে লাগানো যায় সেই চিন্তায় তিনি ফ্রিতে পোল্ট্রি খামারি সৃষ্টি,বøাক বেঙ্গল ছাগল পালন করতে মানুষদের প্রশিক্ষণ প্রদান করে যাচ্ছেন। এছাড়া রয়েছে তার আনসার ও ভিডিপি’র প্রশিক্ষণ। সেই সুবাধে তিনি উপজেলার ৫ নং কালাপুর ইউনিয়নের আনসার ও ভিডিপি’র দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন দীর্ঘ ১৩ বছর থেকে। এলাকার আইনশৃঙ্খলতা রক্ষায় তিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকেন।
তিনি নিজ এলাকায় বিশেষ করে পাহাড়ি এলাকার মানুষদের ডেঙ্গুজ্বর প্রতিরোধে সচেতনতামূলক বিভিন্ন উঠান বৈঠকের মাধ্যমে মানুষদের সচেতন করেন। মানুষের যে কোন বিপদ আপদে তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েন। নিজ কর্তব্য পালনের পাশাপাশি অবসর সময়ে সর্বদা তিনি অসহায় মানুষের সেবা করে যান।
এই তরুন যুবক উপজেলার কালাপুর ইউনিয়নের লামুয়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য (তৎকালিন রক্ষী বাহিনীরও সদস্য) মৃত মোহাম্মদ কেরামত আলীর সন্তান। তারা ৭ ভাই ও ১ বোন।
তার ব্যাপারে মূল্যয়ন করতে গিয়ে কাকিয়াবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নোমান আমেদ সিদ্দীকি বলেন,সে আমাদের স্কুলে অফিস সহকারি হিসেবে সততা ও নিষ্ঠার সহিত কাজ করে যাচ্ছে। তার পিতাও একজন ভাল মানুষ ছিলেন,সেও একজন পরোপকারী বলে আমি জানি। এ ব্যাপাওে মনছুর তার অভিব্যক্তি জানান,তিনি ছোট বেলা থেকেই তার বাবার নিকট থেকে মানুষের উপকার করতে শিখেছেন,তাই মানুষের উপকার করতে ভাল লাগে যতটুকু সামর্থ্যের মধ্যে কুলায় ততটুকু মানুষের সেবা করে যাই।