- Youtube
- English Version
মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০১:২৪ অপরাহ্ন
হাওরে বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ: পুনঃতদন্তের নির্দেশ
- সংবাদ প্রকাশের সময়: শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২৩
এম,এ আহমদ আজাদ,হাওরাঞ্চল প্রতিনিধি(সিলেট):
সুনামগঞ্জের হাওরে বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে করা মামলা পুনঃতদন্তে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার জেলা ও দায়রা জজ জাকিয়া সুলতানা এই নির্দেশ দেন।
বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম ও গাফিলতির কারণে জেলার লাখ লাখ কৃষকের ফসল ডুবে যাওয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হক ২০১৭ সালের ৩ আগস্ট দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৫ কর্মকর্তা, ফসল রক্ষা বাঁধের ৪৬ জন ঠিকাদার এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) ৭৮ জন সদস্যসহ ১৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আদালতের তৎকালীন বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মামলা আমলে নিয়ে মামলাটি তদন্তের জন্য দুদকে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে বাদী নারাজি আবেদন করলে মামলাটি পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।
মামলার বাদী আব্দুল হক বলেন, ‘আদালত আমার নারাজির পিটিশন গ্রহণ করেছেন এবং মামলাটি পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।’
২০১৭ সালে বাঁধের কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতি হওয়ায় সুনামগঞ্জে আগাম বন্যায় ১৫৪ টি হাওরের বোরো ফসল তলিয়ে যায়। হাওরে ফসলহানির পর ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এর পর দুদক ওই বছরের ১৩ এপ্রিল হাওরের ফসলহানি ও বাঁধ নির্মাণে অনিয়মের তদন্তে দুদকের পরিচালক বেলাল হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে। যার পরিপ্রেক্ষিতে পাউবোর সুনামগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আফছার উদ্দিনকে প্রত্যাহার এবং অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (উত্তর-পূর্বাঞ্চল) আবদুল হাই, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম ও সুনামগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আফছার উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
ফসলহানির ঘটনায় একই বছরের ৩০ মে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। দুদকের অনুসন্ধান শেষে ওই বছরের ২ জুলাই মামলা হয়। মামলায় পাউবোর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি, ঠিকাদারদের সঙ্গে অবৈধ যোগসাজশের অভিযোগ আনা হয়ে। আর ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে ঠিক সময়ে কাজ শেষ না করে কৃষকদের ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয়।
