• Youtube
  • English Version
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন

করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

হাওরে ইরি-বোরো জমিতে হাঁস পালন করে সাবলম্বী হচ্ছেন শত শত বেকার যুবক

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: শুক্রবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২৩
এম,এ আহমদ আজাদ, হাওরাঞ্চল প্রতিনিধি(সিলেট)
হাওরে ইরি-বোরো ধানের উৎপাদনের পাশাপাশি বিচরণ করছে শত শত হাঁস। সারা দিন হাওরে খাবার খেয়ে সন্ধ্যায় ফিরছে খামারে। এর পাশেই বাসস্থান (উড়া) বানিয়ে রাতে অবস্থান করছেন খামারিরা। রাতে হাঁসগুলো সেখানে ডিম পাড়ে। আর সকাল হলেই এই ডিম সংগ্রহ করে আবারো হাওরে হাঁস নিয়ে যান খামারিরা। আর এই কাজটি করছেন হাওরাঞ্চলের পরিশ্রমী শত শত বেকার যুবক। তারা অনেক দিন বেকার জীবন কাটিয়ে কোনো প্রশিক্ষণ ছাড়াই নিজেদের পরিশ্রম ও উদ্যোগে এসব হাঁসের খামার তৈরি করেছেন।
এমন চিত্র দেখা গেছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে। শুধু এই উপজেলায় নয়, জেলার ১১টি উপজেলার রয়েছে হাঁসের খামারিদের বিচরণ। এর কারণ হিসেবে জানা যায়, হাওরাঞ্চলে আগে ডিমের দাম ও চাহিদা কম থাকলেও বর্তমানে ডিমের চাহিদা বেড়েছে প্রচুর। আর দামও অনেক। তাই য্বুকরা বেকার না থেকে গড়ে তুলেছে শতাধিক হাঁসের খামার।
জানা যায়, উপজেলায় ছোট বড় ২৩টি হাওরে হাঁসের খাবার রয়েছে প্রচুর। তাই এখানে হাঁস লালন-পালন সহজ ও মুনাফাও বেশি। দেড়শ’ হাঁসের খামারের অর্ধেকের বেশি মালিকই একসময় বেকার ছিলেন। তাদের সরকারি বা বেসরকারিভাবে হাঁসের খামার তৈরি বা লালন-পালনের কোনো প্রশিক্ষণও নেই। শুধুমাত্র সাহস ও ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় আর নিজস্ব পুঁজি দিয়েই গড়ে তুলেছেন এসব খামার। অনেকে মাত্র ১০-১৫ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে খামার শুরু করলেও এখন গড়ে তুলেছেন লাখ লাখ টাকার খামার। এই খামারিদের ডিম উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে সারা দেশে সরবরাহ করছে। করোনা ও পরপর বন্যায় তাদের কষ্টের গড়া খামার ক্ষতির মুখে পড়ে। কিন্তু তারা পাননি সরকারি বা বেসরকারি কোনো সহায়তা। এরপরও হাল ছাড়েননি তারা। আবারো খামার শুরু করেছেন নতুন উদ্যোমে।
খামারিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, হাওরে হাঁসের খাবার ও লালন-পালনের সুযোগ থাকার বিভিন্ন এলাকার গড়ে উঠেছে লাখ লাখ টাকার হাঁসের খামার। আর ডিমের পাইকাররা আগে থেকেই খামার মালিকদের সাথে যোগাযোগ করে ডিম সংগ্রহ করছেন।
লক্ষ্মীপুর গ্রামের খামারি রমজান মিয়া, মঞ্জু মিয়াসহ অনেকে জানান, এ এলাকায় হাঁস পালনের সুযোগ ও খাদ্য রয়েছে প্রচুর। তাই প্রথমে ১০০ হাঁস দিয়ে শুরু করে একেকজনের খামারে দুই হাজারের বেশি হাঁস রয়েছে। সরকারি সহায়তা পেলে তারা আরো নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারতেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসান উদ দৌলা জানান, হাঁসের মূল ধান উৎপাদনেও সহায়ক ভূমিকা রাখছে। প্রাকৃতিক কারণেই এখানে হাঁস পালনের অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। এতে করে বেকার যুবকরা বাড়তি আয়ের সুযোগ পেয়েছেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: হাবিব রহমান বলেন, আমরা হাঁস পালনে খামারিদের বিভিন্নভাবে প্রশিক্ষণ ও পরার্মশ দিয়ে থাকি। আমাদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল বলেন, একদল প্ররিশ্রমী যুবক তারা তাদের মেধা, পরিশ্রম ও নিজ উদ্যোগে হাঁসের খামার করে লাভবান হয়েছেন। তারা প্রশংসার দাবিদার।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ