• Youtube
  • English Version
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১৯ পূর্বাহ্ন

করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

মানুষ আর আপনাদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

করাঙ্গীনিউজ:  বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘যারা আমাদের সন্তানদের হত্যা করেছে তারা খুনি। দেশের মানুষ এদের আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। ’ তিনি বলেন, বেগম সেলিমা রহমানকে আঘাত করে, বরকতউল্লা বুলুকে হত্যার জন্য আঘাত করে, তাবিথ আউয়ালকে হত্যার চেষ্টা করে, ভোলায় নূরে আলম, আবদুর রহিম ও নারায়ণগঞ্জে শাওন প্রধানকে হত্যা করে এই দেশের আন্দোলনকে দমন করে রাখা যাবে না। বাংলাদেশের মানুষ বরাবরই অন্যায়ের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে।
আজকেও তারা জেগে উঠছে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগের আমলে নাকি বাংলাদেশের নির্বাচন সবচেয়ে সুন্দর ও সুষ্ঠু হয়- সরকারের লোকদের এ কথা শুনে ঘোড়াও হাসবে। ’

গতকাল রাজধানীর খিলগাঁও জোড়পুকুর মাঠের সামনে মহানগর জোন-২ খিলগাঁও, সবুজবাগ ও মুগদা থানার যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। জ্বালানি তেল, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ভোলায় নূরে আলম, আবদুর রহিম ও নারায়ণগঞ্জে শাওন প্রধান হত্যাকাণ্ড এবং পল্লবীসহ সারা দেশে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে এই সমাবেশ হয়।
খিলগাঁও, সবুজবাগ ও মুগদার বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার নেতা-কর্মী বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, মির্জা আব্বাস ও আফরোজা আব্বাসের ছবি-সংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে মিছিল নিয়ে সমাবেশে অংশ নেন। মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম-আহ্বায়ক ইউনুস মৃধার সভাপতিত্বে সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, কামরুজ্জামান রতন, মীর সরাফত আলী সপু, শিরীন সুলতানা, মহানগর দক্ষিণের সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনু, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, হাবিবুর রশিদ হাবিব, মোশাররফ হোসেন খোকন, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, যুবদলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, স্বেচ্ছাসেবক দলের এস কে জিলানী, রাজীব আহসান, শ্রমিক দলের মোস্তাফিজুল করীম মজুমদার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম-আহ্বায়ক লিটন মাহমুদসহ মহানগর বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য রাখেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, এ সরকার বাংলাদেশের মানুষের কাছ থেকে অনেক দূরে চলে গেছে। আজকে কথা নয়, সময় হচ্ছে কাজের।
দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। এ সরকার জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে। তারা আজকে আমাদের সব অর্জন ধ্বংস করে দিয়েছে। মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা দুর্নীতি করছে সরকার। লাখ লাখ টাকা পাচার করছে, বিদেশে ঘরবাড়ি তৈরি করছে।
আর আমাদের নেতা-কর্মীদের তারা হত্যা করছে।

সরকারের পদত্যাগের দাবি পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, পদত্যাগ করে একটি নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে সবার গ্রহণযোগ্য একটা নির্বাচন করতে হবে। নতুন পার্লামেন্ট হওয়ার পর সরকার গঠন হবে। তাই আসুন, আমরা সেই লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হই। সব রাজনৈতিক দল ও সব মানুষকে এক করে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাই এবং দুর্বার গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটিয়ে আমরা জনগণের সরকার গঠন করি। এ সময় বিএনপি মহাসচিব নিজেই স্লোগান ধরেন- ‘দাবি এক দফা এক, শেখ হাসিনার পদত্যাগ’, ‘ফয়সালা হবে কোন পথে, রাজপথে রাজপথে’, ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’। মির্জা আব্বাস সভা-সমাবেশে প্রশাসন অনুমতি দিতে গড়িমসি করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই দেশ কারও বাবার রাজত্ব নয়। এই দেশের মানুষের রক্ত দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। আমি তাদের পরিষ্কার করে বলতে চাই, এই সরকারই শেষ সরকার নয়। এর পরও সরকার কিন্তু থাকবে। আপনাদের ছবিও প্রিন্ট করা আছে, ভিডিও করা আছে, রেকর্ড করা আছে।

সরকার গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমন করতে চায় : সরকার দেশে সন্ত্রাস সৃষ্টি করে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমন করতে চায় বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। সোমবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকের পর গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অভিযোগ করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, জ্বালানি তেল, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বাড়ার প্রতিবাদ, ভোলা ও নারায়ণগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুর রহিম, ছাত্রদলের নূরে আলম ও যুবদলের শাওন হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তরের শান্তিপূর্ণ মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচিতে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বর্বরোচিত হামলায় জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী সেলিমা রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তরের বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদসহ প্রায় ৫০ জন আহত হওয়ায় গভীর নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। বৈঠকে একই দিন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থেকে ঢাকা আসার পথে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু ও তার স্ত্রীর ওপর মনোহরগঞ্জে একটি রেস্টুরেন্টে যাত্রাবিরতির সময় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা এবং গুরুতর জখম করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানানো হয়। বরকতউল্লা বুলু এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

মির্জা ফখরুল বলেন, এর আগেও জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের কেরানীগঞ্জের বাড়িতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আক্রমণ এবং সারা দেশে বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে। পুলিশ গুলিবর্ষণ করেছে। এসব ঘটনা প্রমাণ করে, আওয়ামী লীগ সন্ত্রাস সৃষ্টি করে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমন করতে চায়। হত্যার উদ্দেশ্যে বিএনপির নেতা, পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা, বাসাবাড়ি, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। একই সঙ্গে সংবিধানসম্মত শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে হামলায় আবারও প্রমাণিত হচ্ছে যে, আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের অবৈধ সরকার, গুম, খুন, মিথ্যা মামলা, হামলা করে ত্রাস সৃষ্টি করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আরেকটি প্রহসনের একদলীয় নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বিরোধী দলবিহীন একটি সাজানো নির্বাচন অনুষ্ঠান করে ক্ষমতায় থাকাই তাদের মূল লক্ষ্য।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ