• Youtube
  • English Version
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:৩০ অপরাহ্ন

করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

সিলেটে হত্যা মামলার প্রধান আসামী বানিয়াচং থেকে গ্রেফতার

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট, ২০২২

করাঙ্গীনিউজ:  সিলেটের শাহপরান থানার চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও একজন আসামি গ্রেফতার করে র‌্যাব-৯।

গত ২৩ আগষ্ট ২০২২ খ্রি. তারিখ রোজ মঙ্গলবার আনুমানিক ২৩০০ ঘটিকার সময় সিলেট শহরের শাহপরাণ থানাধীন বালুচর এলাকার ফোকাস ৩৬৪ নম্বর পাঁচ তলা বাসা সিকান্দর মহলের নিচ তলার একটি ফ্ল্যাটের তালা ভেঙ্গে আফিয়া বেগম @ সামিহা (৩১) এর রক্তাক্ত মৃতদেহ পুলিশ উদ্ধার করে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি মিডিয়ার মাধ্যমে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচিত হয়।

এ ঘটনায় শাহপরাণ থানায় ২৪ আগস্ট ২০২২ তারিখে ভিকটিমের মা অজ্ঞাতনামা বিবাদী/বিবাদীরা উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত ঘটনার রহস্য উদঘাটনে র‌্যাব-৯ গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করে। তদন্তের এক পর্যায়ে মোছাঃ মাজেদা খাতুন@ মুন্নি(২৯) হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যায়।

এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৯ এর একাধিক আভিযানিক দল উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত প্রধান অভিযুক্ত মোছাঃ মাজেদা খাতুন@ মুন্নি (২৯) পিতাঃ আব্দুল গনি, গ্রামঃ সারংপুর থানাঃ বানিয়াচং, জেলাঃ হবিগঞ্জ কে অদ্য ২৫ আগস্ট ২০২২ তারিখ ০৫১০ ঘটিকায় বানিয়াচং থানা এলাকা হবিগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামীর সাথে ভিকটিমের সাথে টাকা-পয়সার লেনদেন নিয়ে দ্বন্দ ছিল। আসামী মাজেদা ভিকটিম আফিয়ার বাসায় সাবলেট থাকতো কিন্তু মাজেদা মাসে ৫-৭ দিন ভিকটিমের বাসায় অবস্থান করতো। আসামী মাজেদা ভিকটিম আফিয়ার নিকট বিভিন্ন সময় টাকা পয়সা গচ্ছিত রাখতো। মাজেদার পাওনা টাকা ভিকটিম আফিয়া দিতে অস্বীকার করে। ফলে আসামী মাজেদা ও ভিকটিম আফিয়া বেগম@ সামিহা কে হত্যার পরিকল্পনা করে। ঘটনার দিন ২০ আগস্ট ২০২২ তারিখ আনুমানিক রাত ২২০০ ঘটিকায় ভিকটিম এবং আসামী মাজেদার মধ্যে পাওনা টাকা নিয়ে ঝগড়া হয়। ২১ আগস্ট ২০২২ তারিখ দিবাগত রাত আনুমানিক ১২০০ ঘটিকায় অকস্মাৎ মাজেদা বেগম রান্নাঘর থেকে শীল (পাটার শীল) নিয়ে ভিকটিমের মাথার বাম পাশে পরপর ২ টি সজোরে আঘাত করে। আঘাতের ফলে তৎক্ষনাত ভিকটিম বিছানায় লুটিয়ে পড়ে। পরে ভোর আনুমানিক ০৬০০ ঘটিকায় সে বাসা থেকে বের হয়ে রিক্সা ভাড়া করে নিয়ে আসে এবং বাসার দরজা বাহির থেকে তালা মেরে মাজেদার মালামাল ও ভিকটিমের মোবাইল ফোন নিয়ে হবিগঞ্জ বানিয়াচং থানায় তার নিজ বাড়ীতে পালিয়ে যায়। উক্ত ঘটনায় আশ্চর্যজনক ভাবে বাসায় আটকা পড়া অবস্থায় থাকা ভিকটিমের প্রায় ২ বছর বয়সী মেয়ে বেঁচে যায়।

গ্রেফতারকৃতকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ