• Youtube
  • English Version
  • মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০৬:১৬ পূর্বাহ্ন

করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

লাঙ্গলের আশায় আওয়ামীলীগ ছাড়লেন ডা: রমিজ আলী

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: শনিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২১
তিনি কি ইউনিয়ন নির্বাচনে লাঙ্গল পাচ্ছেন
করাঙ্গীনিউজ: আসন্ন ইউনিয়ন নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করার আশায় শেষ পর্যন্ত আবারও  আওয়ামীলীগ ছাড়লেন  মিরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ডা: রমিজ আলী।
তিনি হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলা আওয়ামীলীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
শনিবার (৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে হবিগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির আহব্বায়ক এম এ মুনিম চৌধুরী বাবুর হাতে ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে আবারও জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন তিনি।
তবে জাপা নেতৃবৃন্দের দাবী ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে এসেছেন। তবে কেন তিনি বর্ধিত সভায় যোগদান না করে রাতের আধারে জেলা আহব্বায়কের বাসায় গিয়ে যোগদান করলেন এ নিয়ে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
ডা: রমিজ আলীর দল বদল নিয়ে এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে। তিনি বেশিদিন কোন দলে স্থায়ী হতে পারেন নি। তার বড় ভাই মরহুম রহমত আলীর সুনামে তিনি একবার ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।
তিনি সম্প্রতিও আওয়ামীলীগ থেকে নৌকা পাবেন এ আশায় জেলা উপজেলা নেতাদের কাছে দৌড় ঝাপ করেছিলেন। সর্বশেষ সেখানে ভাল অবস্থান না করতে পেরে তিনি জাপাতে যোগদান করেন।
জামায়াত থেকে তার রাজনীতির গোড়াপত্তন শুরু হয়। পরে তিনি জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন।  তারপর যোগদেন আওয়ামীলীগে। আওয়ামীলীগ যখন ক্ষমতা হারায় তখন তিনি যোগ দেন বিএনপিতে। বিএনপির বাহুবল উপজেলার সদস্য হিসাবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। পরে বিএনপি থেকে সরে এসে এলডিপিতে যোগদান করেন। এলডিপি থেকে তিনি নবীগঞ্জ-বাহুবল আসনে এমপি নির্বাচন করবেন বলে পোষ্টারিং করেন। পরে অবশ্য তিনি এমপি নির্বাচন করেন নি। সর্বশেষ আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসলে তিনি আবারও আওয়ামীলীগে যোগদান করে উপজেলা স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদকের পদ ভাগিয়ে দেন।
শনিবার তিনি লাঙ্গল প্রতিকের আশায় আবারও আওয়ামীলীগ ছাড়েন। এ নিয়ে এলাকায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। আগামী নির্বাচনে তিনি কোনদলে যোগদান করবেন জানে না কেউ।
বাহুবল উপজেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ সভাপতি  আমিনুল ইসলাম চৌধুরী ফারুক বলেন, তিনি কয়েকদিন ধরেই জাপায় যোগ দেয়ার জন্য আমাদের দ্বারস্ত হয়েছিলেন। আমরা নির্বাচন উপলক্ষে একটি বর্ধিত সভা করে তাকে যোগদান করাব বলেছিলাম। আজ ছিল বর্ধিত সভার তারিখ,  অন্য একটি কারনে সভাটি পরিবর্তন করে আগামী শুক্রবার তারিখ নির্ধারন করেছিলাম। কিন্তু কি কারনে জেলা আহব্বায়কের বাসায় গিয়ে তিনি যোগ দিলেন,সেটা জানা নেই।
হবিগঞ্জ জেলা যুব সংহতির সিনিয়র সহ সভাপতি ফরিদ আহমদ বলেন, ইউনিয়ন নির্বাচনে আমি নিজেও একজন প্রার্থী। দল যদি লাঙ্গল দেয় আমি নির্বাচন করব। তিনি বলেন, রমিজ আলী আমাদেরই লোক ছিলেন, আমরা মনে করি ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে এসেছেন। তবে কে লাঙ্গন পাচ্ছেন সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না।
গত ইউনিয়ন নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন জাপার সাংগঠনিক সম্পাদক সকলের প্রিয় ব্যক্তিত্ব ডা: এমদাদুল হক সবুজ। এ বছরও তিনি লাঙ্গল প্রতিক পেলে নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। এ ইউনিয়নে চারজন প্রার্থী লাঙ্গল প্রতিক চাইবেন বলেও জানান স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ