বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০২:৩৭ পূর্বাহ্ন
মোঃআলমগীর মিয়া মিয়া,নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ):
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে হিজরার সাথে যুবকের প্রেম-অতঃপর প্রেমিকের চাহিদা মেটাতে প্রেমিকা হিজরার কিডনি বিক্রি। নবীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বড় ভাকৈর ইউনিয়নের হরিনগর ও বাগাাউড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় এলাকায় আলোচনা সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে।
গত বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এ ঘটনায় ইউনিয়ন অফিসে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আশিক মিয়ার নেতৃত্বে এই শালিস বৈঠক বসে।
সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, ওই উপজেলার হরিনগর গ্রামের গিয়াস মিয়ার পুত্র শাহ-আলম ওরপে (শাহনাজ পারভিন) প্রেমিকা হিজরা ও বাগাউড়া গ্রামের কালা মিয়ার পুত্র সাইফুলের মধ্য প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরই পেক্ষিতে প্রেমিককে খুশি রাখতে শাহআলম (শাহনাজ পারভিন) হিজরা প্রায় সময়ই প্রেমিক সাইফুলকে তার উপার্জনের টাকা দিয়ে আসতো। ধীরে ধীরে তাদের প্রেমের সম্পর্ক বিয়েতে গড়ায়। প্রেমিকা শাহনাজ পারভিন যখন প্রেমিক সাইফুলকে বিয়ের জন্য জোর দেয়। ঠিক তখনই সাইফুল তার শর্তের কথা বলে।
বিয়ের শর্তে সাইফুল শাহনাজ পারভিনকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা দেওয়ার বিনিময়ে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। প্রেমিক সাইফুলের কথায় রাজি হয়ে প্রেমিকা শাহনাজ পারভিন তার একটি কিডনি বিক্রি করে ৬ লাখ টাকা পায়। এর মধ্যে সাইফুলকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা দেওয়ার পর তাদের বিয়ে হয়। হিজরার সাথে যুবকের বিয়ে এ খবর নবীগঞ্জ উপজেলায় জানাজানি হলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হলে ১০ জুলাই বুধবার সকালে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে শালিস বৈঠক বসে।
শালিস বৈঠকে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান তার গ্রামের ছেলে সাইফুলের পক্ষে অবস্থান নিয়ে কথা বলার অভিযোগ উঠে। এ ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আশিক মিয়া সাংবাদিকদের সাথে অসাদ আচরণ করেন।
স্থানীয়রা জানান, এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয় চেয়ারম্যান আশিক মিয়া সাইফুলকে বাচাতে গোপন বৈঠক করেন। আর জানা যায় সাইফুল ও চেয়ারম্যান আশিক মিয়া তার নিজ গ্রামের হন। এরই সুবাধে শাহআলম ওরফে (শাহনাজ পারভিনকে) ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ উঠে। গত বুধবার বড়ভাকৈর ইউনিয়ন পরিষদে শালিস বৈঠক করে শাহআলম ওরফে (শাহনাজ পারভিনকে) ১ লাখ টাকার বিনিময়ে রফাদফা করার সিদ্ধান্ত হয়। এব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান আশিক মিয়া সাংবাদিকদের প্রতি ক্ষিপ্ত হন।
শালিস বৈঠক সূত্রে জানাযায়, সাইফুল হিজরা পারভিন ওরফে শাহ আলমকে ভবিষ্যত বাবদ ১ লক্ষ টাকা আগামী ২০ তারিখ দেয়ার রায় ধার্য্য করেন শালিস বিচারকগন। বিচারের রায় হিজরা শাহ আলম ও সাইফুলের পরিবারের লোকজন মেনে নিয়েছেন।