বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০২:৩৪ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি, হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার শ্রীকুটা গ্রামের কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় এলাকায় চাঁপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। ৩ ধর্ষকের সঠিক বিচার চান এলাকাবাসী।
এদিকে ধর্ষকের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় মামলা তুলে নিতে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে ধর্ষিতার পরিবারকে। এমতাবস্থায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ধর্ষিতার পরিবার।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ঘটনার মূল হোতা লম্পট জয়নাল মিয়া শ্রীকুটা গ্রামে বসবাস করতো ও ট্রাক্টর চালাতো। এই সুবাধে আহাদ ও আশিকের সাথে বন্ধুত্ব হয়। বন্ধুর কু-কর্মকে সফল করতে সহযোগিতা করে তারা। আশিক মিয়া একজন চিহ্নিত সুদখোর নামে সকলের কাছে পরিচিত। এছাড়াও কথিত আছে, সে বিভিন্ন নেশাদ্রব্য সেবন করে।
আরো জানা যায়, লোক ভাড়া করে এনেও ধর্ষিতার পরিবারকে বিভিন্নভাবে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে তারা। এব্যাপারে চুনারুঘাট থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন ধর্ষিতার পরিবার।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ জুন রোববার রাত ৯টার দিকে
উপজেলার শ্রীকুটা গ্রামের আহাদ মিয়া তার মামাতো বোন সাবিনা ইয়াসমিনকে মাছ বানিয়ে দেওয়ার কথা বলে তার বসতঘরে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। সেখানে ওতপেতে থাকা হবিগঞ্জ সদর উপজেলার সিমেরগাঁও গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে জয়নাল মিয়া (৩০) ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে।
ধর্ষণে সহযোগিতা করে শ্রীকুটা গ্রামের জলিল মিয়ার ছেলে আহাদ মিয়া (২৪) ও আন্নর আলীর ছেলে আশিক মিয়া (২৭)। পরে তারাও ১৫বছরের ওই তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। তার চিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ২৬ জুন বুধবারে চুনারুঘাট থানায় ৩ ধর্ষণকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। ওইদিন চুনারুঘাট থানা পুলিশ আহাদ ও আশিক মিয়াকে গ্রেফতার করে। পরে ৬জুলাই ঘটনার মূল হোতা জয়নাল মিয়াকে গ্রেফতার করে র্যাব।