মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ১০:৪৫ অপরাহ্ন
করাঙ্গীনিউজ: হবিগঞ্জে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকুরী পেলেন ৩৪ জন নারীসহ ৯৭ জন। এদের মধ্যে অধিকাংশ দরিদ্র পরিবারের মেধাবী সন্তান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- কারো বাবা কৃষক, কারো বাবা শ্রমিক, কারো বাবা আইসক্রীম বিক্রেতা, কেউ কলা বিক্রেতা, কারো বাবা মিস্ত্রী, কারো বিধবা মা শ্রমিকের কাজ করে সন্তানকে লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষ করার চেষ্টা করছেন। কেউ নিজেই টিউশনি করে বা শ্রমিকের কাজ করে বা ভ্যান চালিয়ে উপার্জনের মাধ্যমে লেখাপড়া করেছে।
অর্থনৈতিকভাবে তারা পিছিয়ে থাকলেও মেধার দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে। তাদের চোখে আছে দেশ সেবার স্বপ্ন। তারা অদম্য। শত বাঁধার মুখেও এগিয়ে যেতে চায়। তারা প্রধানমন্ত্রীর ব্রত সুশাসন ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার কারিগর হতে চায়।
রবিবার (৭ জুলাই) বিকেলে জেলা পুলিশ লাইনে ৯৭ জনকে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এর আগে ১ জুলাই হতে ৭ জুলাই পর্যন্ত তারা নিয়োগ প্রক্রিয়ার পথ পরিক্রমা পাড়ি দিয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়- পুলিশ সদরদপ্তর হতে ২ জন পর্যবেক্ষক, সিলেট ও সুনামগঞ্জ হতে ২ জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের সমন্বয়ে গঠিত নিয়োগ বোর্ডের শ্রম, ধৈয্য ও মেধার ফসল তারা।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা কনস্টেবল নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, যেভাবে মেধা, যোগ্যতা, ন্যায় ও নিরপেক্ষতার মাধ্যমে যাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে, ভবিষ্যতে বিভিন্ন কর্মস্থলে দেশের সাধারণ নাগরিকদের তারা যেন ন্যায় ও নিরপেক্ষতার মাধ্যমে সেবা প্রদান করেন। এরমধ্যে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বাগ গ্রামের মৃত দুর্গা চরন দেব ও গৃহপরিচারিকা বাসন্তি রাণী দেবের দুই কন্যা রুনা রানী দেব ও রিমা রানী দেব। তারা অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের লোক।
পুলিশ সুপার আরো জানান- চুনারুঘাট উপজেলার আব্দুর রহিমপুর গ্রামের দৃষ্টিহীন কদ্দুছ আলীর পুত্র সুমন আহমেদসহ ২ জন এতিম যুবককে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে ২০জন মুক্তিযোদ্ধা পুরুষ, ২৯ জন সাধারণ পুরুষ, অন্যান্য কোটায় ৯ জন। নারী কন্সস্টেবল ৩৪ জন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৪ জন, অন্যান্য কোটায় ১ জনসহ মোট ৯৭ জনকে নিয়াগ দেয়া হয়েছে।