• Youtube
  • English Version
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১১ পূর্বাহ্ন

করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

হবিগঞ্জে হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সভা অনুষ্ঠিত

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: বৃহস্পতিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৮

নিজস্ব প্রতিনিধি, হবিগঞ্জঃ হবিগঞ্জ জেলা হোটেল রেস্টুরেন্ট মিস্টি বেকারী শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং চট্টঃ ২৮৬৮-এর পক্ষ থেকে হোটেল রেস্টুরেন্ট ও মিস্টি বেকারি সেক্টরে দৈনিক ৮ ঘন্টা কর্মদিবস, নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্রসহ শ্রমআইন কার্যকরের দাবি জানিয়েছে।

বুধবার (১৪ নভেম্বর) রাত ৯ টায় শহরের নবীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডস্থ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভা থেকে এই দাবি জানানো হয়।

জেলা হোটেল মিস্টি বেকারী শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ কাওছার খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভা য় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রজত বিশ্বাস।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হোটেল মিস্টি বেকারী শ্রমিক ইউনিয়নের জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক দুরুদ মিয়া, প্রচার সম্পাদক শাহ রুবেল আহসান, কোষাধ্যক্ষ শহীদ খান এবং পৌর কমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মানিক, সহ-সভাপতি মোঃ জামাল উদ্দিন ও কালাচাঁদ দাশ, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাগর আহমেদ, প্রচার সম্পাদক ইন্দ্রজিত দাশ, মোঃ জলিল আহমেদ, শ্যামল সরকার, সুমন দাশ প্রমূখ।

সভায় বক্তারা বলেন বাংলাদেশ শ্রম আইন-এর ১০৮ ধারায় দৈনিক ৮ ঘন্টা সপ্তাহে ৪৮ ঘন্টা কাজ করার আইন থাকলেও হোটেল মালিকরা শ্রমিকদের দৈনিক ১২/১৪ ঘন্টা কাজ করতে বাধ্য করান। আইনের ১০৩ ধারায় সপ্তাহে দেড়দিন সাপ্তাহিক ছুটি প্রদান করার আইনের তোয়াক্কা মালিকরা করেন না।

সপ্তাহে দেড়দিন তো দুরের কথা মালিকরা মাসেও এক দিন ছুটি দেন না। আর যদিওবা কোন সময় ছুটি মেলে মালিকরা সেই দিনের মজুরি দেননা। অথচ হবিগঞ্জের পাশ্ববর্তী সকল জেলা শ্রমিকদের কাজের শিফট চালু আছে, কেবল হবিগঞ্জের শ্রমিকদের একটানা কাজ করতে হয়।

এছাড়াও বাংলাদেশ শ্রম আইন-এর ৫ ধারায় নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্র, ৬ ধারায় সার্ভিস বই, ২(১০) ধারায় চাকুরীচ্যূতি জনিত ৪ মাসের নোটিশ পে, প্রতিবছর চাকুরীর জন্য ৪৫ দিনের গ্রাচ্যুয়েটি, ১১৫ ধারায় বছরে ১০ দিন নৈমিত্তিক ছুটি, ১১৬ ধারায় ১৪ দিন অসুস্থাতার ছুটি, ১১৭ ধারায় প্রতি ১৮ দিন কাজের জন্য ১ দিন অর্জিত ছুটি, ১১৮ ধারায় ১১ দিন উৎসব ছুটি প্রদানের আইন থাকলেও হোটেল শ্রমিকদেরকে এই সকল আইনগত অধিকার হতে বঞ্চিত করা হচ্ছে।

শ্রম আইনে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ ও বাসস্থানের বিধান থাকলেও শ্রমিকরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করতে ও থাকতে বাধ্য হন। হোটেল শ্রমিকরা দৈনিক ১০/১২ ঘন্টা অমানবিক পরিশ্রম করে অর্ধাহারে-অনাহারে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হন, যার কারণে হোটেল শ্রমিকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।

সভা থেকে বাজারদরের সাথে সংগতিপূর্ণ নিন্মতম মূল মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষণা, সরকার ঘোষিত নিন্মতম মজুরির গেজেট কার্যকর, শ্রমিকদের জন্য রেশনিং চালু, ৮ ঘন্টা কর্ম দিবস, নিয়োগ পত্র, পরিচয় পত্রসহ শ্রম আইন বাস্তবায়ন করার দাবি জানানো হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ