মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন
করাঙ্গীনিউজ : মাত্র রাতটি পোহালেই হবিগঞ্জের ছয়টি পৌরসভার মধ্যে শুধুমাত্র শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ করা হবে।
এই পৌরসভায় দেশের বৃহৎ দুইটি রাজনৈতিক দলের দুই মেয়র প্রার্থীসহ ছয় জন মেয়র পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর হিসেবে ১৪ জন এবং সাধারণ আসনের কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন ৩৬ জন। সব মিলিয়ে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন ৫৬ জন প্রার্থী।
ওইদিন পৌরসভার ১৭ হাজার ৯৬১ ভোটার তাদের নগর পিতা নির্ধারণ করবেন ইভিএম এর বাটন ছেপে। তাই উপজেলা নির্বাচন অফিস ভোটগ্রহণের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছেন।
আজ রবিবার সকাল ১১টার পর থেকে কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসারগণের কাছে ইভিএম মেশিন পৌছে দেওয়া হবে। তারা আইনশৃংখলা বাহিনীর সহযোগিতায় যার যার কেন্দ্রে পৌছে যাবেন বলে জানায় নির্বাচন অফিস।
পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত মোঃ মাসুদউজ্জামান মাসুক (নৌকা), বিএনপি মনোনীত ফরিদ আহমেদ অলি (ধানের শীষ), স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান মেয়র মোঃ ছালেক মিয়া (নারিকেল গাছ), ফজল উদ্দিন তালুকদার (চামুচ), আবুল কাশেম শিবলু (জগ) ও ইমদাদুল ইসলাম শীতল (মোবাইল ফোন)।
এবারের নির্বাচনে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ হবে বলে জানালেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। তাই পৌরসভার সচেতন ভোটারদের মাঝে একটু ভিন্ন আমেজ দেখা গেলেও কৃষক শ্রমিক ভোটাররা রয়েছেন শঙ্কায়। আবার কিছু অসচেতন ভোটাররা মনে করছেন, মেশিনে ভোট গ্রহণ হলে তার ভোটটি সঠিক প্রতীকে থাকবে কি না এ নিয়ে দ্বিদ্বা দ্বন্ধে রয়েছেন। তবে জেলা নির্বাচন অফিসার ও পৌরসভা নির্বাচনে রিটানিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম বলেন, ইভিএমে ভোট দান স্বচ্ছ এবং সহজ। নির্ভূলভাবে ভোট গ্রহণের সঠিক মাধ্যম এটি। জাল ভোট কিংবা কারচুপি করার কোন সুযোগ নেই ইভিএমে।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, নির্বাচনে পরিবেশ খুবই ভালো। এখানে ঝুকিপূর্ণ কেন্দ্র নেই, তবে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রকে অতিগুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। এই পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী বেশি হওয়ায় আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ৯টি ওয়ার্ডে ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং পুরো পৌরসভার জন্য একজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও পুলিশ,বিজিবির পাশাপাশি র্যাবও আইন শৃংখলার দায়িত্ব পালন করবেন।
এই পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ১৭ হাজার ৯৬১ জন। তন্মধ্যে মহিলা ভোটার ৯হাজার ১২৬ জন ও পুরুষ ভোটার ৮হাজার ৮৩৫ জন।
ইভিএমমে ভোটগ্রহণের দায়িত্ব রয়েছেন ১১ জন প্রিজাইডিং ও ৪৭ জন সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার ও ৯৬ জন পোলিং অফিসার।