শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১২:২৫ অপরাহ্ন
ক্রীড়া ডেস্কঃ লাঞ্চ বিরতির পর দ্রুত ফিরে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং আরিফুল হক। তবে একপ্রান্ত আগলে থেকে যান মুশফিকুর রহিম। পরে মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে জুটি বাঁধেন তিনি। মিস্টার ডিপেন্ডেবলকেও দারুণ সঙ্গ দেন মিরাজ। ফলে দুজনের মধ্যে দারুণ মেলবন্ধন গড়ে ওঠে।
শেষ পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকল। এতে দ্রুতগতিতে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। ৭ উইকেটে ৫২২ রানের পাহাড় চড়ে ইনিংস ঘোষণা করল স্বাগতিকরা। মিরাজ ৬৮ ও ২১৯ রান নিয়ে মুশফিক অপরাজিত ছিলেন।
এ পথে দারুণ এক বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন মুশি। বিশ্বের প্রথম উইকেটকিপার- ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে দুইবার দ্বিশতক করার কীর্তি গড়েছেন তিনি। এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০১৩ সালে গলে কাঁটায় ২০০ রান করেন এ নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান। সেটিও ছিল দেশের টেস্ট ইতিহাসে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি।
টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি আছে কুমার সাঙ্গাকারা, অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, মহেন্দ্র সিং ধোনিসহ সব কিংবদন্তি উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যাদের। তবে দুইবার করে নেয় কারও।
এদিন বাংলাদেশ ক্রিকেটেও অনন্য নজির গড়েছেন মুশফিক। দেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে দুইবার ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানোর রেকর্ড গড়েছেন তিনি। টাইগারদের হয়ে ক্রিকেটের আদি ফরম্যাটে দ্বিশতক আছে কেবল দুজনের-সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের।
টিম বাংলাদেশের হয়ে ক্রিকেটের অভিজাত সংষ্করণে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি ছিল সাকিবের, ২১৭। ২০১৭ সালে ওয়েলিংটনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এ ইতিহাস গড়েন তিনি। আর ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে খুলনায় ২০৬ রানের অনিন্দ্যসুন্দর ইনিংস খেলেন তামিম। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ও ড্যাশিং ওপেনারকে ছাড়িয়ে গেছেন মুশফিক। এখন এ ফরম্যাটে টাইগারদের সর্বোচ্চ রান স্কোরার তিনিই।