বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০২:৫১ পূর্বাহ্ন
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি:
শ্রীমঙ্গলে এক অসহায় পরিবারের প্রায় আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। পরিবারটির বিপুল পরিমান সম্পত্তির লোভে পরিবারটিকে একের পর হুমকি মিথ্যা মামলা, উচ্ছেদ ও জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে।
শহরের বারিধার নিবাসী প্রয়াত ডাঃ কামরুন নাহার পারভিনের মেয়ে আসফিয়া শাহরিন আচল বুধবার শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
আসফিয়া শাহরিন আচল বলেন, ১৯৭৩ সালে তার মায়ের দাদা আব্দুল আজিজ মারা যাবার পর ৪৫ একর জমি রেখে যান। এই জমির কিছু অংশ উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তিতে ভাগ বসাতে আবু শহীদ মো. আব্দুল্লাহ, আব্দুছ সালাম, এফএম মাহফুজুল হিমেল, আবিদ হোসেন তানভীর, আব্দুল কাইয়ুম নাহিদ, সরওয়ার হোসেন শাওন, মেহতাব হোসেন পাপ্পু গংরা কর্মকান্ড চালাচ্ছে। আমার মায়ের মৃত্যুও পর এই সম্পত্তিকে কেন্দ্র করে আমাদের উপর অত্যাচারের মুখে আমাদের জিম্মি করে ২০১০ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তারা আমাদের প্রায় আড়াই কোটি টাকা আত্মসাৎ করে।
আশফিয়া শাহরিন আচল সংবাদ সম্মেলনে আরো জানান, আমার এক ছোট ভাই ছাড়া আমাদের পরিবারে আর কেউ নেই। আমাদের এই অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে তারা জমি দখল ও আত্মসাতের মতো জঘন্য কাজে লিপ্ত রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেলওয়ার হোসেন রাহীদ ও অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবিদ হোসেন তানভীর যুগান্তরকে জানান, ‘আমার বড় ভাই উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেলওয়ার হোসেন রাহীদ আমাদের পরিবারের বিপুল পরিমাণ টাকা অত্মসাৎ করে গা ঢাকা দিয়েছে। আচল ভূমি বিক্রয় করলে সে কমিশন পায়। সেই কমিশন খাওয়ার লোভে তারই প্ররোচনায় এই মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করায়। আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের বিষয়ে জানতে চাইলে তানভীর বলেন, ‘আচল আড়াই কোটি টাকা কোথায় পেলেন সেটাই এখন আমার প্রশ্ন’।
তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেলওয়ার হোসেন রাহিদ টাকা আত্মসাৎ এর বিষয়টি অস্বীকার করে জানান বরং তিনি তাঁর ভাইদের নিকট টাকা পান।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আবু শহীদ মো. আব্দুল্লাহ বলেন, গত ১৬ ফেব্রুয়ারী শ্রীমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদে এনিয়ে একটি বৈঠকে ভূমির মূল্য বাবদ আমাদেরকে ৩২ লক্ষ টাকা দেয়ার একটি শালিস নামা হয়। কিন্তু আচল টাকা না দিয়ে উল্টো আদালতে মামলা করে।