মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ১১:১২ অপরাহ্ন
ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী নিজে বাদী হয়ে সৎপিতাসহ পাঁচজনকে আসামি করে কুলাউড়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয় সৎপিতা ইমরান হোসেনকে। অপর আসামিরা হল- কুলাউড়া উপজেলার কুটাগাঁও গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে কাশেম আলী (২৩), গাজীপুর গ্রামের আসকর আলীর ছেলে আরজান আলী (২৪), ঝন্টু সূত্রধরের ছেলে রাজেস সূত্রধর ওরফে পাপ্পু (২১) ও অজ্ঞাতনামা অটোরিকশাচালক। এদের মধ্যে সৎপিতা ইমরান হোসেন ও অটোরিকশাচালক পলাতক রয়েছে।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ থেকে জানা যায়, নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী থানার বাসিন্দা ওই তরুণী কুলাউড়া পৌরশহরের জয়পাশা গ্রামে তার সৎবোনের বাড়ি বেড়াতে আসেন। তার সৎপিতা ইমরান হোসেন বেড়ানোর কথা বলে মঙ্গলবার রাত ৭টায় শহরের স্টেশন রোডে সোনালী ব্যাংকের নিচে নিয়ে আসেন।
সেখানে তিনি ৩ হাজার ১০০ টাকা নিয়ে কাশেম আলী ও তার অপর দুই সহযোগীর সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে দেন ওই তরুণীকে। অটোরিকশায় করে তাকে রাত ১০টায় কর্মধা ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকা মনছড়া গ্রামের জনৈক কাদির মিয়ার পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে কাশেম আলী ও তার ২ সহযোগী মিলে তরুণীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে বাড়িটি অবরুদ্ধ করে ওই তরুণীসহ তিন যুবককে আটক করেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা তিনজনকে গণধোলাই দিয়ে থানা পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে বুধবার সকাল ১০টায় কুলাউড়া থানার ওসি মো. ইয়ারদৌস হাসান ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয় লোকজন তরুণীসহ অভিযুক্ত কাশেম আলী, আরজান আলী ও রাজেস সূত্রধর ওরফে পাপ্পুকে পুলিশে সোপর্দ করেন। পরে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।
কুলাউড়া থানার ওসি মো. ইয়ারদৌস হাসান জানান, ধর্ষণের শিকার তরুণী নিজে বাদী হয়ে তার সৎপিতাকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে এবং আটক তিন যুবককে মৌলভীবাজার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।