মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ১১:১২ অপরাহ্ন
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার বাজারে আগুনে ১৬ দোকানসহ একটি বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়েছে।
সোমবার ভোর ৫টায় মুন্সিবাজার ইউনিয়নের বাসুদেবপুরের ঠাকুরবাজারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ফায়ার সার্ভিসের গাফিলতির কারণে আগুনে পুড়ে ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
জানা যায়, সোমবার ভোর ৫টায় ঠাকুরবাজারে একটি মুদি দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন দেখে বাজারের প্রহরী বাসুদেবপুর মসজিদের মোয়াজ্জিন আরজু মিয়া মাইকে ঘোষণা দিয়ে এলাকাবাসীকে অভিহিত করেন।
এলাকাবাসী এসে কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসকে কয়েক দফা ফোন করলে কেউ ফোন রিসিভ করেনি। পরে শ্রীমঙ্গল ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের খবর দিলে তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আগুনে নান্নু স্টোর, দেওয়ান চালের দোকান, সাহবাগ ধানের দোকান, মামনি কনফেকশনারি, শাহজালাল ভেরাটিজ স্টোর, কেএম মেডিকেল হল, জননী মেডিকেল সেন্টার, মহিউদ্দিন কম্পিউটার, হাসিম টি স্টল, নকুল সেলুন, মকসন স্টোর, বাছির ফার্নিচার, মহসিন ভেরাইটিজ স্টোর, জুয়েল মিয়ার বসতবাড়ি, চন্দন সেলুন, হাফিজ ভেরাইটিজ স্টোর ও নজরুল মিয়ার গুদামঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের এমন গাফিলতিতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে প্রায় তিন শতাধিক এলাকাবাসী। আগুন নিয়ন্ত্রণের পর দীর্ঘসময় কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আটকে রাখে বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হকের আশ্বাসে কমলগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়িটিকে ছেড়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।
ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুনে প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন জানান, আমরা ঘটনার খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গল থেকে এসে প্রায় এক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি। আমাদের আরও কিছুক্ষণ আগে জানালে আগুনের ক্ষতির পরিমাণ আরও কমানো যেত।
কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের লিডার আবদুল কাদির জানান, আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করার চেষ্টা করেছি। আমাদের পানি পাম্পটি নষ্ট হওয়ায় কাজ করতে পারিনি।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশেকুল হক জানান, ফায়ার সার্ভিসের গাফিলতির কারণে এই অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে এটি তদন্তক্রমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।