মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০৪:৩৫ অপরাহ্ন
জুড়ী (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার জুড়ীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক মাদরাসা ছাত্রসহ দু’জনের মৃত্যু ঘটেছে।
রোববার (১৬ আগস্ট) এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। তবে অন্য ঘটনায় বিদ্যুৎ বিভাগের গাফিলতি রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নিহত একজন হলেন, উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিরইনতলা গ্রামের বাসিন্দা ওয়াহিদ আলী (৫০)।
স্থানীয় বাসিন্দা ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওয়াহিদসহ আরেক ব্যক্তি রোববার ফুলতলা বাজারের কাছে উস্তার আলীর বসতঘরের পুরানো টিনের বেড়া সরিয়ে নতুন বেড়া দেওয়ার কাজ করছিলেন। বাড়িটির বিদ্যুতের সংযোগ টিনের বেড়ার পাশ দিয়ে গেছে। সকাল থেকে এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিদ্যুৎ এলে টিনের বেড়া বিদ্যুতায়িত হয়ে পড়ে। এতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই ওয়াহিদ মারা যান। খবর পেয়ে বেলা তিনটার দিকে পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
ওপর নিহতের নাম ইমাম উদ্দিন হোসাইন (১৫)। তিনি সাগরনাল ইউনিয়নের পাতিলাসাঙ্গন গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শরফ উদ্দিন জানান, প্রায় ১৫ দিন থেকে ওই কিশোরের বাড়ীর পাশের পুকুরে ৪৪০ ভোল্টের বিদ্যুৎ লাইনের একটি তার ছিঁড়ে পড়ে। রোববার বিকাল পাঁচটার দিকে পুকুরে নামার সময় ইমাম ওই তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়।
স্থানীয়রা জানান, বিদ্যুতের তার ঠিক করার জন্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে বারবার অবহিত করা হয়েছিল কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। তাদের গাফিলতির কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ ইমামের পরিবারের।
পিডিবি’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী শামীম আহমেদ জানান, তিনি দুর্ঘটনার খবর পেয়েছেন এবং সেখানে যাচ্ছেন।
জুড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমিনুল ইসলাম জানান, ফুলতলার ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। আর পাতিলাসাঙ্গনের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি জানান, নিহত দুজনের লাশ ময়নাতদন্তের মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যার হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।