রোববার দুপুরে ওই চিকিৎসককে নিজ বাসা থেকে আটক র্যাব। পরে আটককৃত চিকিৎসক ডা. এএইচএম শাহ আলমকে নিয়ে যাওয়া হয় র্যাব-৯ এর সদর দপ্তরে।
সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নগরীর মধুশহীদস্থ মেডিনোভা মেডিকেলের নীচ তলায় তার চেম্বারে হানা দেয় র্যাব। অভিযানের নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার সুনন্দা রায়। এ সময় র্যাব সদস্যরা চেম্বারে ব্যাপক তল্লাশি চালায়। অভিযান চলাকালে অভিযুক্ত ডা. আলমও সাথে ছিলেন। তখন তিনি চিকিৎসার সনদসহ বিভিন্ন কাগজপত্র বের করে দেন ম্যাজিস্ট্রেটকে।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ডা. শাহ আলমের বিরুদ্ধে ৩টি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ৪ মাসের জেল ও ১ লক্ষ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো এক মাসের জেল দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
র্যাব-৯ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সামিউল আলম জানান, টাকার বিনিময়ে করোনার ভুয়া সার্টিফিকেট দেয়ার অভিযোগে ডা. আলমকে দুপুরে আটক করে র্যাবের কার্যালয়ে নিয়ে আসি। সেখানে এনে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে তিনি সব অপরাধ স্বীকার করেন। পরে তাকে নিয়ে তার চেম্বার মেডিনোভা মেডিকেল সার্ভিসেস লিমিটেডে অভিযান চালানো হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুনন্দা রায় বলেন, ডা. আলমকে ৪ মাসের জেল ও ১ লাখ টাকা জরিমানা করার পাশাপাশি অনাদায়ে আরো ১ মাসের জেলা দেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সব ধরণের প্রমাণ পত্র আমাদের কাছে রয়েছে। ডা. আলম করোনায় আক্রান্ত হয়েও গত ১৪ জুলাই থেকে চেম্বারে রোগী দেখছেন নিয়মিত। পাশাপাশি তিনি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার হিসেবে যে পদ ব্যবহার করতে তা ভুয়া বলেও স্বীকার করেন।
জানা গেছে, ডা. এ এইচ এম শাহ আলম নগরীর মধুশহীদ এলাকায় মেডিনোভা মেডিকেল সার্ভিসেস লিমিটেডের নিচতলায় চেম্বার করেন। বিদেশযাত্রীদের জন্য বিভিন্ন দেশ ও এয়ারলাইন্স করোনা নেগেটিভ সার্টিফেকেট বাধ্যতামূলক করার পর প্রবাসীদের টার্গেট করেন ডা. শাহ আলম। ‘করোনা নেগেটিভ’ সার্টিফিকেট দেয়ার কথা বলে বিদেশযাত্রীদের কাছ থেকে তিনি চার হাজার টাকা করে আদায় করেন।