সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ১০:০২ অপরাহ্ন
ক্রীড়া ডেস্ক: আজ জিতলেই এক মাচ হাতে রেখে সিরিজ জয়। তবে আজ জয় পেলে আরো একটি গর্ব লুকিয়ে আছে। সেটি সবার আগে মুশফিকের শততম ওয়ানডে জয়। সাকিব, তামিম, মাশরাফির আগে একশ জয়ের কাব্য রচনা করবেন তিনি। অথচ এ বিষয়টা একেবারেই জানতেননা ক্রাইসিস ম্যান। কাল সিলেট স্টেডিয়ামে অনুশীলনের ফাঁকে এ কথাটি স্মরণ করিয়ে দিলে তিনি চমকে উঠেন।
এক সাংবাকিকের করা প্রশ্নের পর মুশফিক বললেন, ‘সত্যি, আমি জানতাম না তো। এটা দারুণ ব্যাপার।’ বললেন “লম্বা সময় বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পেরেছি বলেই ১০০ জয় হতে যাচ্ছে। মাশরাফি ভাই, সাকিব-তামিমরাও অনেক বছর ধরে খেলছে। আমি সৌভাগ্যবান যে সব ঠিক থাকলে সবার আগে ১০০ জয় আমার হচ্ছে।” নিজের সমৃদ্ধ ক্যারিয়ারের সেরা প্রাপ্তিগুলোর একটি হিসেবেই এই অর্জনকে রাখছেন মুশফিক। “দলের জয়ই আমাদের কাছে শেষ কথা। ১০০টি জয় দেখতে পারছি দলের, অনেক বড় ব্যাপার এটি। আমার ক্যারিয়ারের সেরা অর্জনগুলোর একটি হবে এটি।”
২১৭ ওয়ানডে খেলে আপাতত ৯৯ জয় মুশফিকের। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে তার পরেই আছেন মাশরাফি। ৯৭টি ওয়ানডে জয়ের স্বাদ পেয়েছেন তিনি, তবে বাংলাদেশের হয়ে জিতেছেন ২১৬ ম্যাচের ৯৫টি। তার বাকি দুটি জয় এশিয়া একাদশের হয়ে আফ্রিকা একাদশের বিপক্ষে।
নিষেধাজ্ঞার কারণে আপাতত ক্রিকেটের বাইরে থাকা সাকিব আল হাসানও আছেন শততম জয়ের খুব কাছে। বাংলাদেশের সবসময়ের সেরা ক্রিকেটার ২০৬ ওয়ানডে খেলে জয়ের সাক্ষী হয়েছেন ৯৪ ম্যাচে। ২০৫ ম্যাচে বাংলাদেশের ৮৬ জয় দেখেছেন তামিম ইকবাল, ১৮৬ ম্যাচে ৮৩টি মাহমুদউল্লাহ।
ওদিকে, কাল অনুশীলনে ঘাম ঝরালেন ফর্মহীনতায় থাকা তামিম ইকবাল। ব্যাট হাতে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছেন না এ ড্যাশিং ওপেনার। বিশ্বকাপ থেকেই তার ব্যাটে রান নেই। ওয়ানডে সংস্করণে সবশেষ সেঞ্চুরি দেড় বছর আগে, সাত ইনিংসে নেই কোনো ফিফটি। ইদানীং ডট বলের জালে আটকে ফেলছেন নিজেকে। প্রতিনিয়তই কমছে বাঁহাতি ওপেনারের স্ট্রাইকরেট।
তামিমের খেলার ধরণ নিয়ে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। ২২ গজে মাত্রাতিরিক্ত সতর্ক থাকার পরও আউট হচ্ছেন বলার মতো কোনো ইনিংস না খেলেই। সঙ্গত কারণেই কাল সিলেট স্টেডিয়ামে ব্যাটিং কোচ নিল ম্যাকেঞ্জির কাছে প্রশ্ন করা হল দিনের পর দিন তামিমের ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করে। সেই কথাতে অবশ্য আপত্তি জানিয়েছেন সাবেক প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান।
‘আমি মনে করি না সে দিনের পর দিন ব্যর্থ। তামিম সবে খেলায় ফিরেছে। তার রেকর্ড যদি দেখেন, সে একজন ক্লাস ক্রিকেটার। আমি মনে করি ‘‘দিনের পর দিন’’ এটি খুব কঠিন একটি বাক্য। আমরা জানি সে ক্যারিয়ারে কত রান করেছে।’
‘তার মান ধরেই তাকে বিবেচনা করতে হবে। সে সুময়ের অপেক্ষায় আছে। কিছুটা সময় খেলার বাইরে ছিল। রানের ক্ষুধা তার মধ্যে যথেষ্টই আছে। ব্যাটিং অনুশীলনেও চনমনে থাকছে। তামিমকে নিয়ে আমি মোটেও চিন্তিত নই।’
এদিকে, তামিম রানে ফিরতে কঠোর অনুশীলনে। মুশফিক শততম জয়ের কাছে। লিটন দাশ বড় সেঞ্চুরীতে উজ্জিবিত। আর মাশরাফির ২৫৪ বল পরে উইকেট নেয়া বলে দেয় বাংলাদেশ আজই সিরিজ জয়ের উৎসব করবে। হোক না তা দুর্বল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। তবুও তো সিরিজ জয়!