শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩, ০৪:১৬ পূর্বাহ্ন
করাঙ্গীনিউজ: আজ ২৫শে বৈশাখ। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৫তম জন্মজয়ন্তি। প্রতিবারের মতো এবারও দিনটি পালিত হচ্ছে সাড়ম্বরে। দিনটি উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। টিভি চ্যানেলগুলো সমপ্রচার করছে বিশেষ অনুষ্ঠান।
প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ বাণী দিয়েছেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারের মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর-সারদা দেবী দম্পতির সন্তান। আভিজাত্যের সঙ্গে উদারতা মিলেছিল তাদের পরিবারের ঐতিহ্যে। এ পরিবেশ শৈশবেই মুক্ত করে দিয়েছিল তার মন।
জন্মের দেড়শ’র বেশি বছর পেরিয়ে গেছে, কিন্তু বাঙালির জীবন ও মানসে তার উপস্থিতি আজও দেদীপ্যমান। তিনি ছিলেন বাঙালির অগ্রণী কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীত স্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক। রবীন্দ্রনাথ আধুনিক বাঙালির সৃজন ও মননের জ্যোতির্ময় প্রতীক, রুচি ও মানসের প্রধান নির্মাতা।
প্রায় একক চেষ্টায় বাংলা সাহিত্যকে তিনি আধুনিকতায় উজ্জ্বল করে তুলেছেন, প্রতিষ্ঠা দিয়ে গেছেন বিশ্বসাহিত্যের সারিতে। তিনি বাঙালির প্রাণের মানুষ। ১৯১৩ সালে তার সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্তি বাংলা ভাষা ও বাঙালির জন্য বয়ে এনেছিল বিশ্বের গৌরব। যে গীতাঞ্জলির জন্য তার এই নোবেল পুরস্কার অর্জন, সেই গীতাঞ্জলি এবং আরো অনেক বিখ্যাত সৃষ্টি রচিত হয়েছে বর্তমান বাংলাদেশের মাটিতেই। পদ্মা-মেঘনা-যমুনা-ইছামতির স্রোতধারা, নিসর্গ, গ্রামীণ জনসাধারণের জীবনাচার তার কবিমানস গঠনে রেখেছিল সুদূরপ্রসারী ভূমিকা। ১৯১৫ সালে তিনি বৃটিশ সরকারের নাইট উপাধি লাভ করেন।
১৯১৯ সালের ১৩ই এপ্রিল জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ওই উপাধি ত্যাগ করেন। রবীন্দ্রজয়ন্তীতে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। জাতীয় পর্যায়ে কবির স্মৃতিধন্য শিলাইদহ, শাহজাদপুর, পতিসর ও দক্ষিণডিহিতে পালিত হচ্ছে নানা অনুষ্ঠান।
রাজধানীতে সরকারি পর্যায় ছাড়াও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠন রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করবে। ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২শে শ্রাবণ পরলোকগমন করেন বাঙালির প্রাণের কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।