• Youtube
  • English Version
  • মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০৯:৩৮ পূর্বাহ্ন

করাঙ্গী নিউজ
স্বাগতম করাঙ্গী নিউজ নিউজপোর্টালে। ১৫ বছর ধরে সফলতার সাথে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে করাঙ্গী নিউজ। দেশ বিদেশের সব খবর পেতে সাথে থাকুন আমাদের। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন‌্য যোগাযোগ করুন ০১৮৫৫৫০৭২৩৪ নাম্বারে।

কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও’র বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

  • সংবাদ প্রকাশের সময়: মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২০

নিজস্ব প্রতিনিধি, সিলেট: সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জির বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্র্নীতি ও সরকারী অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে পৃথক আবেদনে এ অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে বঙ্গবন্ধু কাপের টাকা আত্মসাত, কোম্পানীগঞ্জের খাস কালেকশনের টাকা লুটপাট, শাহ আরফিন টিলার অবৈধ পাথর উত্তোলনকারীদের কাছ থেকে উৎকোচ গ্রহণ, ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর পর্যটন এলাকার গাড়ি পার্কিং ইজারাদারদের কাছ থেকে অবৈধ ফায়দা হাসিল, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের ভবনাদি মেরামতের টাকা আত্মসাত।

অভিযোগে বলা হয়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় যোগদান করার পর থেকেই নানা অনিয়ম দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন ইউএনও বিজেন ব্যানার্জি। দুর্নীতির মাধ্যমে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প ও সরকারি রাজস্ব খাতের কোটি কোটি টাকা তিনি হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করা হয়। তার অনিয়ম দুর্নীতির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, সদ্য সমাপ্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট (অনুর্ধ ১৭)-এর সরকারী বরাদ্দের টাকা আত্মসাত।

সরকারী বরাদ্দ থাকার পরও টুর্নামেন্টে আর্থিক সংকট দেখিয়ে তিনি নিজে ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শামীম আহমদ যৌথভাবে এলাকার বিত্তশালী ও বিভিন্ন সংগঠন থেকে আরো ৩ লাখ টাকা চাঁদা উত্তোলন করেন। উত্তোলিত সব টাকা বিজেন ব্যানার্জি আত্মসাত করেন। খেলায় অংশ গ্রহণকারি ৬টি দলসহ সংশ্লিষ্ট কাউকে প্রথমে কোন টাকাই দেননি। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হবার পর বরাদ্দের আংশিক টাকা প্রদান করতে শুরু করেন বিজেন ব্যনার্জি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জি সরকারের অন্যতম রাজস্ব খাত ভোলাগঞ্জ কোয়ারি থেকে আহরিত পাথরমহাল থেকে আদায়কৃত খাস কালেকশনের টাকা থেকে শতকরা ১৫ থেকে ২০ ভাগ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করে বাকি টাকা আত্মসাত করছেন বলেও অভিযোগ করা হয়। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় দুই লাখ টাকা খাসকালেকশন আদায় হলেও র্ষ্ট্রাীয় কোষাগারে জমা করা হয় নামমাত্র টাকা। এই খাত থেকে ইতোমেধ্যে তিনি কয়েক কোটি টাকা অবৈধভাবে আয় করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

উপজেলার শাহ আরেফিন টিলায় অবৈধ পন্থায় টিলা কেটে কোটি কোটি টাকার পাথর লোপাট করে চলেছে পাথরখেকোরা। উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জির সাথে যোগসাজশে প্রতিদিন অবৈধভাবে অর্ধকোটি টাকার পাথর উত্তোলন করছে তারা। ফলে এলাকার পরিবেশের ভারসাম্য মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রাণ হারাচ্ছে বহু পাথর শ্রমিক। শাহ আরফিন টিলার অবৈধ পাথর উত্তোলনকারীদের কাছ থেকে প্রতিদিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জি লাখ-লাখ টাকা উৎকোচ গ্রহণ করে থাকেন বলে অভিযোগে বলা হয় ।

অভিযোগে আরো বলা হয়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর এলাকায় পর্যটকদের গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য মা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ১৭ লাখ টাকায় কোটেশনের মাধ্যমে ইজারা প্রদান করেন। কোন স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে অতি গোপনে তিনি সাদাপাথর পার্কিং স্পটটি ইজারা প্রদান করেন। ইজারা বিজ্ঞপ্তিতে গাড়ি প্রতি পার্কিং ফি ১০ টাকা হারে গ্রহণ করার কথা থাকলেও ইজারাদারের লোকজন জোরপূর্বক আদায় করে থাকে ১শ’ থেকে দেড়শ’ টাকা করে। এ ক্ষেত্রে ইজারাদারের কাছ থেকে তিনি অবৈধ ফায়দা হাসিল করছেন।

সম্প্রতি ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের ভবনাদি মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ (এডিবি) থেকে এর আওতায় ৩টি প্রকল্পে ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ আনলেও কোন কাজ না করিয়েই নিজের অনুগত তিনজন ঠিকাদারের মাধ্যমে গত জুন মাসে বিল করিয়ে সম্পূর্ন টাকা আত্মসাত করেন। প্রকল্পগুলো হচ্ছে, উপজেলা পরিষদের ১নং ভবন মেরামত ও সংস্কার, উপজেলা পরিষদ হলরুম মেরামত এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবন মেরামত। পরবর্তীতে বিষয়টি প্রকাশ পেলে বর্তমানে আংশিক কাজ করাতে শুরু করেছেন তিনি।

২৫ সেপ্টেম্বর উপজেলাবাসীর পক্ষে অভিযোগ করেন টুকেরগাঁও গ্রামের হীরা মিয়া ও ভোলগঞ্জ গ্রামের মো. জাফর।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ