সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ০৭:১৫ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি, হবিগঞ্জ: বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন- ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের কলঙ্কজনক একটি দিন। এই দিনে ভোট চুরির মাধ্যমে আওয়ামীলীগ বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে একদলীয় শাসন কায়েম করেছে। দেশে আজ আইনের শাসন নেই, বাক-স্বাধীনতা নেই, মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নেই। এই অবস্থা থেকে দেশের মানুষ মুক্তি চায়। কিন্তু গণতন্ত্রের মা, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া এ দেশের গণতন্ত্র ফিরে আসবে না। মানুষের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হলে খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় “৩০ ডিসেম্বর গণতন্ত্র হত্যা দিবস” উপলক্ষে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন।
জি কে গউছ বলেন- দেশের মানুষ এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রের কুটনৈতিকরা বলতেন বিএনপি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনে না গিয়ে ভুল করেছে। এই বিষয়টি প্রমাণ করার জন্য এবং মানুষের ভোটাধিকার ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনের অংশ হিসেবেই ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেছিল বিএনপি। গণভবনে ঐক্যফ্রন্টের নেতাদেরকে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্র“তি দিয়েছিলেন একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিবেন। কিন্তু নির্বাচনের নামে আওয়ামীলীগ জাতির সাথে যে তামাশা করেছে তাতে দেশবাসী হতবাক হয়েছিল। ওই নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টের কোন প্রার্থীকে নির্বাচনী প্রচারণা করতে দেয়া হয়নি। ভোটের পূর্বেই বিএনপির সকল নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।
২৯ ডিসেম্বর রাতেই রাষ্ট্রীয় মদদে দেশের আইন শৃংখলা বাহিনী আওয়ামীলীগের বিজয় নিশ্চিত করে দেয়। ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের মানুষ রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস দেখেছে। ওই দিন আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের কবর রচনা করে আওয়ামীলীগ। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয়েছে, শেখ হাসিনার অধীনে কোন নির্বাচন সুষ্ঠ হয় না এবং হবেও না।
শীঘ্রই একটি গণআন্দোলনের মাধ্যমেই আওয়ামীলীগ সরকারের পতন নিশ্চিত করা হবে।
জেলা বিএনপি নেতা এডভোকেট শামছু মিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি এডভোকেট মঞ্জুর উদ্দিন শাহিন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট হাজী নুরুল ইসলাম, এমজি মুহিত, জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এস এম বজলুর রহমান, নুরুল ইসলাম নানু, আজিজুর রহমান কাজল, মহিবুল ইসলাম শাহীন, তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদ, মিয়া মোঃ ইলিয়াছ, জহিরুল হক শরীফ, সৈয়দ মুশফিক আহমেদ, এডভোকেট ফাতেমা ইয়াসমিন, সফিকুর রহমান সিতু, এমদাদুল হক ইমরান, রুবেল আহমেদ চৌধুরী, মিজানুর রহমান চৌধুরী, শাহ ফারুক আহমেদ, ফারুক আহমেদ, জিল্লুর রহমান, শাহ রাজীব আহমেদ রিংগন, গোলাম মাহবুব, সৈয়দা লাভলী সুলতানা, মুর্শেদ আলম সাজন, শেখ মামুন, তানিয়া খানম, সুরাইয়া আক্তার রাখি, তাজুল ইসলাম, আশরাফুল আলম সবুজ প্রমুখ।