মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন
জকিগঞ্জ (সিলেট) প্রতিনিধি: সিলেটের জকিগঞ্জে ট্রলির নিচে চাপা পড়ে মোটরসাইকেলে থাকা এক ‘প্রেমিক যুগল’ নিহত হয়েছেন।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে জকিগঞ্জ-সিলেট সড়কের ভরন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- কানাইঘাট উপজেলার দিঘিরপার ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামের জমির উদ্দিনের ছেলে রাসেল আহমদ (২৭) এবং জকিগঞ্জ উপজেলার মানিকপুর ইউনিয়নের মাতারগ্রামের হারিছ উদ্দিনের মেয়ে শাবনুর বেগম (১৯)। রাসেল ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবকলীগের সহসভাপতি ছিলেন।
অন্যদিকে শাবনুর সিলেট পলিটেকনিক ইন্সিটিউটের ৩য় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তার পরিবারে বর্তমানে উপজেলার আটগ্রাম গুচ্ছগ্রামে পরিবারের সাথে বসবাস করছে। তবে শাবনুর পড়াশোনার জন্য সিলেট শহরে একটি ছাত্রী হোস্টেলে থাকতেন।
জানা গেছে, জকিগঞ্জ থেকে মোটরসাইকেলে ভরন এলাকা দিয়ে কোথাও যাচ্ছিলেন রাসেল ও শাবনুর। পথিমধ্যে জকিগঞ্জ-সিলেট সড়কে ভরন এলাকায় একটি ইটবাহী ট্রলি হঠাৎ করে পার্শ্বস্থ একটি সরু সড়কে ঢুকছিল। ওই সময় বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগতির মোটরসাইকেলটি বিভ্রান্ত হয়ে পড়লে ট্রলির সাথে সংঘর্ষ ঘটে। ট্রলির একটি চাকার নিচে চলে যায় মোটরসাইকেলটি। এ সময় রাসেল ও শাবনুর গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত শাবনুরের বাবা হারিছ উদ্দিন বলেন, তার মেয়ে বিজয় দিবস উপলক্ষে সিলেট থেকে বাড়িতে আসছে বলে ফোনে জানিয়েছিলেন। এরপর কখন, কিভাবে ওই ছেলের (রাসেল) সাথে শাবনুর গেলেন, তা তিনি জানেন না। রাসেলকেও তিনি চেনেন না।
নিহত রাসেলের চাচা মতিউর রহমান মুতি জানিয়েছেন, মাত্র একমাস আগে রাসেলকে তার বোন নতুন মোটরসাইকেল কিনে দিয়েছিলেন। শাবনুরের সাথে তাদের পারিবারিক কোনো সম্পর্ক বা আত্মীয়তা নেই।
জকিগঞ্জ থানার ওসি মীর মো. আব্দুন নাসের বলেন, প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে রাসেল ও শাবনুরের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা দুজন হয়তো কোথাও বেড়াতে যাচ্ছিলেন।
তিনি বলেন, ট্রলি ও মোটরসাইকেল পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। নিহতদের ময়নাতদন্ত করে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ট্রলি চালককে সনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।