সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ১০:৩৬ পূর্বাহ্ন
বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার আনসার ভিডিপি অফিসে কর্মরতদের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আনসার সদস্যদের ইউনিয়ন কমান্ডার পদে নিযুক্ত করে অর্থ কামাই করছেন। এতে প্রকৃত সদস্যগণ বৈধ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা আনসার ভিডিপি অফিনের তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মহাপরিচালক বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছেন সুবিধা বঞ্চিত এক আনসার সদস্য।
উক্ত অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার পূর্ব রসুলপুর গ্রামের মোঃ বেলায়েত হোসেন ২০০৩ সালে ১১ দিন এবং ২০০৮ সালে রাষ্ট্রীয় ভালোবাসার স্বীকৃতিস্বরূপ আনসার ও ভিডিপির মৌলিক প্রশিক্ষণে সাফল্যের সাথে কৃতকার্য হন এবং মানব সম্পদ উন্নয়নে ধর্মীয় নেতাদের সম্পৃক্ত করণের বিষয়ে ২০০২ সালের ২৭ জানুয়ারি সিলেটে তিনদিনের প্রশিক্ষণে অংশ নেন। ১৯৯৮-১৯৯৯ সনে আলিয়া ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষা দিয়ে তৃতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হন।
২০১৮ সালের ৫ ডিসেম্বর শাহজীবাজার ফায়ার কেন্দ্রে এবং একই বছর ৩১ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত হবিগঞ্জ জেলা কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ করেন বেলায়েত হোসেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি বিগত উপজেলা নির্বাচনে পিসি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু বাহুবল আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা রানা বণিক তার সহকারী আফসানা আঞ্জম, অচীন চন্দ্র দাস উৎকোচ গ্রহণের মাধ্যমে অযোগ্য লোকদের নির্বাচনী ডিউটিতে নিযুক্ত করেন। এতে বেলায়েত হোসেনসহ যোগ্য সদস্যগণ উৎকোচ না দেয়ায় বঞ্চিত হওয়ার পর্যায়ে পড়েন।
এমতাবস্থায় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বেলায়েত হোসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে লিখিত ভাবে অবহিত করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে বেলায়েত হোসেনকে নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত করা হয়।
এদিকে উল্লেখিত কর্মকর্তাগণ সিলেট সিটি কর্পোরেশনে কর্মরত আনসার সদস্য সবুজকে ৩নং সাতকাপন ইউনিয়ন কমান্ডার এবং একইভাবে গগলপুর গ্রামে আনসার সদস্য আশিক মিয়াকে কমান্ডার নিযুক্ত করেন। অথচ আশিক মিয়া আনসার ভিডিপি ব্যাংকের গার্ড হিসাবে কর্মরত।
সুন্দ্রাটিকি গ্রামের উস্তার মিয়ার পুত্র আনসার সদস্য আব্দুল মমিন সিলেটে অন্য একটি বেসরকারী কোম্পানিতে কর্মরত। এরপরও তাকে বাহুবল আনসার ভিডিপি কোম্পানি কমান্ডার ও উক্ত অফিসের ঝাড়ুদার হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কিন্তু আশিক মিয়া ও সবুজ মিয়া ওই অফিসে কোন দিন দায়িত্ব পালন করেননি বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এ ব্যাপারে কোন সদস্য মুখ খুললে তাদেরকে শাসিয়ে দেন উল্লেখিত তিন কর্মকর্তা। এ বিষয়টি নিয়ে বাহুবলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা রানা বণিক সরাসরি ছাড়া কোন মন্তব্য করতে চাননি।