বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুদকের সিলেট জেলা কার্যালয়ে এ মামলা দায়ের করেন প্রতিষ্ঠানটির সহকারী পরিচালক মনজুর আলম চৌধুরী। বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদক সিলেটের উপপরিচালক নূর ই আলম।
মামলায় ডা: সালাম ছাড়াও অপর আসামীরা হলেন হাসপাতালের সাবেক হিসাব রক্ষক আব্দুল কুদ্দুছ আটিয়া ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নগরীর ভাতালিয়ার এমএস এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী মির্জা এসএম হোসেন ওরফে সাদ্দাম হোসেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন মালামাল ও মেডিকেল সামগ্রী সরবরাহের দায়িত্ব পায় এমএস এন্টারপ্রাইজ। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি হাসপাতালের মালামাল সরবরাহ না করে ১৬টি ভূয়া বিল তৈরী করে। ওই বিল বাবদ ৬২ লাখ ৭২ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করে। আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে টাকা আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে ২০১৮ সালের ২১ মে দুদক দেড় কোটি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগে ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলায় ১১ নভেম্বর আদালতে ৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। চার্জশিটে ডা. আবদুস সালাম, আবদুল কুদ্দুছ আটিয়া ছাড়াও আটিয়ার ছেলে আরিফ আহমেদ ও ঢাকার কাকরাইলের মেসার্স প্রাইম এন্টারপ্রাইজের মালিক জাকির হোসেনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। চার্জশিটে ওই চারজন পরস্পর যোগসাজসে টাকা আত্মসাত করেন বলে উল্লেখ করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।