অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল বলেন, ‘শাবিপ্রবি থেকে অবসর নেওয়ার পর বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করার জন্য প্রস্তাব এসেছে। আমার সাথে অনেকেই যোগাযোগ করেছে তখন আমি উনাদেরকে সরাসরি না করতে পারিনি। কিন্তু আমি ঠিক করেছি যে যখন এখান চলে যাবো এরপরে বাংলাদেশের আর কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করবো না, কারণ আমি চাই আমার পরিচয়টা থাকুক আমি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলাম। অন্য কোথাও জয়েন করলে সেই সুযোগ আর থাকবে না। এখানে প্রত্যেকটি মুহূর্ত, প্রত্যেকটি সেকেন্ড আমি উপভোগ করেছি। আমি অপূর্ব স্মৃতি নিয়ে এখান থেকে যাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিদেশে বেশিদিন থাকলে আমি নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে মারা যেতাম। তাই দেশে চলে এসেছি, ফ্রি ভাবে নিঃশ্বাস নিতে আসছি। আমি খুব ভাগ্যবান, সিলেটে আসার পর ব্যাঙের ডাক, শেয়ালের ডাক শুনেছি, প্রত্যেক রাতে বৃষ্টি হয়। বাংলাদেশে কত সুন্দর দম দম করে বৃষ্টি হয় কিন্তু ওখানে টিপ টিপ করে বৃষ্টি পড়তো।’
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ড. জাফর ইকবাল বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অনেক বড় সেক্রিফাইস, অনেক বড় বীরত্ব এবং অনেক বড় অর্জন। তখন বাংলাদেশের প্রায় প্রত্যেক পরিবার থেকে মানুষ মারা গিয়েছিল। এই মুক্তিযুদ্ধের ভেতর অসংখ্য স্বজন হারানোর একটি বেদনা আছে। আমরা অনেক কিছু দেখেছি কিন্তু মানুষের মনের ভেতরের কষ্টটা আমরা অনেকে দেখিনি। তোমরা কল্পনাও করতে পারবে না মুক্তিযুদ্ধের মানুষ কত বড় কষ্ট নিয়ে বড় হয়েছে। সে জন্য আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম একটি বই লিখবো যেখানে পাঠকের মনে কষ্ট দিবো। সে জন্য ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ নামে বইটিতে মুক্তিযুদ্ধের কষ্টটি তোলে ধরেছি। ইচ্ছা করে ছেলে-মেয়েদের মনে কষ্ট দিয়েছি। যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখো নাই তারা যাতে অন্তত বোঝতে পারে মুক্তিযুদ্ধে কতটা কষ্ট ছিল।’
সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমানের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হক বলেন, ‘তিনি অসম্ভব ভালো মানুষ ছিলেন। মানুষ ভালো হওয়া অনেক বেশি দরকার। অনেক ভিসিকে দেখলাম অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমানের মত ভালো মানুষ দেখিনি।’