বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার মিরপুর দাখিল মাদ্রাসায় সহ সুপার নিয়োগে মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে ম্যানেজিং কমিটির কাছে ধরা পড়ে এ বিস্তর অনিয়ম। তাৎক্ষনিক রুদ্ধদার মিটিংয়ে বসে ম্যানেজিং কমিটি তখন পরীক্ষার খাতার উত্তরপত্র জব্দ করা হয়।
শুধু তাই নয় পছন্দের প্রার্থীকে পরীক্ষার খাতায় পাশ দেখিয়ে সকলের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে এমপিও ভুক্তি করতে কাজও শুরু করেছেন মাদ্রাসার সুপার হাফেজ মাওলানা আলাউদ্দিন।
অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘ ৩৩ বছর ধরে মাদ্রাসার কোন অডিটও করাননি তিনি। সুপারের ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাব সহ ৩টি অ্যাকাউন্টে মাদ্রাসার আয়ের টাকা জমা রাখা হয়। মাদ্রাসার ব্যায় কাজে ৫ হাজারের অধিক কোন টাকা ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদন ছাড়া ব্যয় করার বিধান না থাকলেও সুপার মনগড়া ভাবে ব্যাংক থেকে ২০ হাজার থেকে লক্ষাধিক টাকা উত্তোলন করে তছরুপ করছেন। মাদ্রাসার আয় ব্যায়ের হিসাবও জানা নেই ম্যানেজিং কমিটির। এ নিয়ে কমিটির প্রায় মিটিংয়ে দেন দরবার হলেও তোয়াক্কা করছেন না সুপার হাফেজ আলাউদ্দিন।
গত ২৩ শে ফেব্রুয়ারী সহ সুপার পদে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয। নিয়োগ বোর্ডের সুপারিশ অনুমোদনের জন্য গত ৫ মার্চ ম্যানেজিং কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নিয়োগ পরীক্ষায় লিখিত পরীক্ষার উত্তর পত্রে যথেষ্ট অসামঞ্জস্য পরিলক্ষিত হয়। ফলে ওই দিনের সভায় সহ সুপার পদে নিয়োগ বোর্ডের সুপারিশ অনুমোদন স্থগিত করে দপরবর্তী সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ম্যানেজিং কমিটিতে ঐক্যমত হয় এবং লিখিত পরীক্ষায় অংশ গ্রহনকারী নিয়োগ প্রত্যাশিত উত্তরপত্র জব্দ করা হয়।
সভা সূত্রে জানা যায়, পরীক্ষায় অংশ গ্রহনকারী সকলের খাতার উপরে আলাদা স্লিপে কম্পিউটার টাইপকৃত নাম থাকলেও একমাত্র মুসলেহ উদ্দিনের খাতার উপর হাতে লিখে শিট প্রেরণ করা হয়। এই আলামতকে জালিয়াতী হিসাবে সন্দেহের চোঁখে দেখছেন কমিটির সদস্যবৃন্দ। এতে সহ সুপার পদে নিয়োগ নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে।
উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ও দাতা সদস্য আলহাজ্ব এহসান আহমদ চৌধুরী।
এমনকি কমিটির অনুমোদনের আগেই তড়িগড়ি করে মাদ্রাসার সুপার হাফেজ মাওলানা আলাউদ্দিন নিয়োগ প্রত্যাশী মাওলানা মুসলেহ উদ্দিনকে শিক্ষক প্যাটার্নে অধিকাংশ শিক্ষকের স্বাক্ষর নিয়ে অন্তর্ভুক্তি সিট তৈরি করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাদ্রাসার এক শিক্ষক জানান, আজ বুধবারও পিয়ন এই শিক্ষক প্যার্টানে স্বাক্ষর দেয়ার জন্য শিট পাঠান,কিন্তু গতকাল মঙ্গলবারই এই নিয়োগ বাতিল করে দেন ম্যানেজিং কমিটি।
এ নিয়ে কমিটির সদস্যসহ অভিভাবক মহলে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার সুপার হাফেজ মাওলানা আলাউদ্দিন বলেন, মুসলেহ উদ্দিনকে কমিটি অনুমোদন দিবে মনে করে আমি অগ্রিম সিট তৈরি করেছিলাম, কমিটি স্থগিত করায় আমিও এমপিও ভূক্তির সিট স্থগিত করেছি।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব এহসান আহমদ চৌধুরী সহ সুপার পদে শিক্ষক নিয়োগে পরীক্ষার খাতায় কিছু অনিয়ম পাওয়ায় অনুমোদনের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে, তবে কি কারনে সুপার এমপিও ভুক্তির জন্য শিট তৈরি করেছেন তা আমার জানা নেই।