বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৭:১৯ অপরাহ্ন
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র প্রভাবে মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলায় রোপা আমন ধানসহ আলু, শীতকালিন সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
আশীদ্রোন ইউনিয়নের খোশবাস গ্রামের আব্দুস সালাম জিতু বলেন, চলতি মৌসুমে আমি ১২ কেদার জমিতে তিন জাতের আমন ধান রোপন করি। প্রথম দিকে পাঁকায় ধান গাছের ক্ষতি করলে পরে আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছিল। কয়েকদিন ধান কাটা শুরু করার কথা ছিল। প্রবল বাতাসে পাকা ধান নুয়ে পড়ছে এবং ঝরে পড়েছে অনেক ধান। এছাড়া পাকা ধান ক্ষেতে পানি জমে গেছে। এখন ধান কাটা যেমন কষ্টের তেমনি ধান কাটা শ্রমিকদের দিতে হবে দিগুণ মজুরি। প্রচুর ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ফসল নিয়ে এখন দুশ্চিন্তায় আছি। নউপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে আমন ধানের তেমন ক্ষতি হয়নি। এতে উৎপাদনের উপর কোনো প্রভাব পড়বে না। তবে ক্ষতি হয়েছে রবি সবজির বীজ তলায়, সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে আলু চাষিদের অন্তত(ত্রিশ) হেক্টর জমির। সিন্দুনখান ইউনিয়নের আলু চাষি মো. রোশন মিয়া বলেন, পাঁচ ছয় দিন আগে আমি বেশ কিছু জমিতে আলুর বীজ রোপন করি। এখনও চারা উঠেনি। বৃষ্টির কারনে সব বীজ নষ্টে হয়েগেছে। নতুন করে আবারও আলু বীজ রোপন করতে হবে।
শ্রীমঙ্গল উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মাকসুদুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে আমন ধানের তেমন ক্ষতির সম্ববনা নেই। এখন মুঠামুঠো জমির সব ধানই পাঁকা। যেসব ধান জমিতে পড়ে গেছে, রুদ্র উঠলে ধানি জমির পানি কমে আসলে ধান কাটলে কোনো ক্ষতি হবে না।
শ্রীীমঙ্গল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মহিউদ্দিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলির’ প্রভাবে আমনের তেমন একটা ক্ষতি হয়নি। চলতি মৌসুসে আবাদ হয়েছে ১৫ হাজার ৩৭৫ হেক্টর, তার মধ্যে ৮০% ধান পেকেছে, কৃষক কর্তন শুরু করেছে। কিন্তু আকস্মিক বৃষ্টির কারণে রবি সবজির বীজ তলার ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে আলু চাষিদের।