বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৪:১১ অপরাহ্ন
করাঙ্গীনিউজ: আসন্ন দুর্গাপূজা ও কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষ্যে অতিথিদের আপ্যায়ন বাবদ ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা চেয়ে তিনটি কোম্পানির কাছে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি নাজমুল হক কামালের নামে চিঠি গেছে।
গত মঙ্গলবার কনস্টেবলদের মাধ্যমে চিঠি পাঠিয়ে ওলিপুর স্কয়ার ডেনিমস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, একই এলাকার তাফরিদ কটন মিলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের জিএমের (প্রশাসন) কাছে ওসি টাকা চেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলায় তোলপাড় শুরু হয়।
এ ঘটনায় শনিবার পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) শামসুল হকের নেতৃত্বে কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন সদর সার্কেলের এএসপি খলিলুর রহমান ও এসপি কার্যালয়ের বিশেষ শাখার পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম।
পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘চাঁদা দাবি নিয়ে থানা থেকে চিঠি পাঠানোর বিষয়ে অভিযোগ আসায় তদন্ত কমিটি করে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোম্পানিগুলোর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কনস্টেবলের মাধ্যমে আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়ে আপ্যায়ন বাবদ প্রতি কোম্পানির কাছে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা চাওয়া হয়েছে। অনেকের হোয়াটসঅ্যাপেও একই চিঠি পাঠানো হয়েছে। প্রায়ই বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপলক্ষে থানা থেকে এভাবে টাকা চাওয়া হয়। টাকার অঙ্ক নিয়ে দেনদরবারের সুযোগ থাকে। টাকাগুলো কোন বাবদ খরচ হবে তার বিস্তারিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের এজিএম (প্রশাসন) এহসানুল হাবিব গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি আমার হোয়াটসঅ্যাপে একটি আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছেন। তবে এখনও অর্থ সহায়তার বিষয়ে তার সঙ্গে কোনো আলাপ হয়নি। আমরা সহযোগিতা করি। কিন্তু সবসময় থানা-পুলিশের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয় না।’
ওসি নাজমুল হক কামাল বলেন, ‘বিষয়টি নজরে আসার পর দেখেছি আমন্ত্রণপত্রে আমার নামের স্বাক্ষর সুপার এডিটিং করা হয়েছে। থানা থেকে আমি কাউকে এ ধরনের চিঠি দিয়ে পাঠাইনি।