মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০৬:৫২ অপরাহ্ন
ক্রীড়া ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে বাজে রেকর্ড গড়ল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চলতি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই বিপাকে পড়ে যায় দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
শনিবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই সময়ের ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে ক্যারিবীয়রা।
ব্যাটসম্যানরা আসা-যাওয়ার মিছিলে অংশ নেওয়ায় ১৪.২ ওভারে মাত্র ৫৫ রানেই অলআউট হয় উইন্ডিজ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রানের বিচারে এটি তৃতীয় সর্বনিম্ন। তবে বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে এটাই উইন্ডিজের সর্বনিম্ন স্কোর। এর আগে ২০০৯ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে ১০১ রানে অলআউট হয়েছিল ক্যারিবীয়রা।
ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের বিশ্বকাপে এর আগে ৩৯ ও ৪৪ রানে অলআউট হওয়ার বাজে রেকর্ড গড়ে নেদারল্যান্ডস। চলতি বিশ্বকাপে শ্রীলংকার বিপক্ষে ৪৪ রানে অলআউট হয় তারা।
শনিবার ইংলিশদের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে একের পর এক সজেঘরে ফেরেন লেন্ডন সিমন্স, এভিন লুইস, সিমরন হিতমায়ার, ক্রিস গেইল, ডুয়াইন ব্রাভো, নিকোলাস পুরান, আন্দ্রে রাসেল, কায়রন পোলার্ড, ওডি ম্যাকওয়ে ও রবি রামপাল।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারে দলীয় ৯ রানেই সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনার। লেন্ডন সিমন্সের পর ফেরেন এভিন লুইসও।
মঈন আলীর বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন সিমন্স। আর ক্রিস ওকসের বলে মঈন আলীর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লুইস।
দলীয় ২৭ রানে ফেরেন সিমরন হিতমায়ারও। তিনিও সেই মঈন আলীর শিকার। তার বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন হিতমায়ার।
দলের এমন ব্যাটিং বিপর্যয়ে হাল ধরতে পারেননি ক্রিস গেইলও। তাইমাল মিলসের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন এই তারকা ব্যাটসম্যান। তার বিদায়ে ৬ ওভারে ৩১ রানেই ৪ উইকেট হারায় ক্যারিবীয়রা। দলীয় ৩৭ রানে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ডুয়াইন ব্রাভো।
মিলসের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন নিকোলাস পুরান। ৯ বল খেলে মাত্র ১ রান করার সুযোগ পান এই তারকা ব্যাটসম্যান। আন্দ্রে রাসেলকে রানের খাতা খুলতেই দেননি আদিল রশিদ। তার স্পিনে বোল্ড হয়ে ফেরেন রাসেল।
ব্যাটসম্যানদের এ আসা-যাওয়ার মিছিলে উইকেটের একপ্রান্ত বেশ কিছু সময় ধরে আঁকড়ে থাকা অধিনায়ক কায়রন পোলার্ডও প্রত্যাশিত ব্যাটিং করতে পারেননি। ১২.১ ওভারে আদিল রশিদের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ক্যারিবীয় এই অধিনায়ক।
পোলার্ড আউট হওয়ার পর দ্রুত আউট হয়ে যান ওডি ম্যাকওয়ে ও পেসার রবি রামপল।